সংক্ষিপ্ত
- ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস
- কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই বিজেপি ত্যাগ করেছেন তিনি
- টিএমসিতে ফিরতে চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন দীপেন্দু
- নিজের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দলনেত্রীর কাছে ক্ষক্ষমা চাইলেন প্রাক্তন ফুটবলার
ডবল সেঞ্চুরি করে তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের ফলাফলের পর থেকেই একের পর এক মোহভঙ্গ হচ্ছে একসময় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-নেত্রীদের। ঘরে ফেরার জন্য এক এক জন অবলম্বন করছেন এক এক রকম পন্থা। সম্প্রতি দলে ফেরার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন একদা তৃণমূল নেত্রীর ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহ। দলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেনন মালদহের সরলা মুর্মু ও এবং উত্তর দিনাজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অমল আচার্য। এবার সেই তালিকা নাম লেখালেন প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস।
দলে ফিরতে চেয়ে সরাসরি দলনেত্রীকে চিঠি লিখলেন বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন টিএমসি বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস। কলকাতার তিন প্রধানে খেলা প্রাক্তন ফুটবলার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে লেখেন,'প্রথমেই আমার প্রণাম নেবেন। বেশ কিছুদিন আগে অভিমানে ভুলবশত আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, তার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। নির্বাচনের সময় আমি মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি এবং সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। বিগত দিনে, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক করে আপনি বসিরহাটের মানুষের সেবা করার যে সুযোগ আমাকে দিয়েছিলেন, সে জন্য আমি আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকব। এমতাবস্তায়, আপনার অনুমতিস্বরূপ ক্ষমা প্রার্থনা করে, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি মাননীয় সুব্রত বক্সী (দার) হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে আপনার অনুগত সৈনিকরূপে আগামিদিনে উন্নত বাংলা গড়তে শামিল হতে চাই।'
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ছিল দীপেন্দু বিশ্বাসের। যার ফলস্বরূপ ২০০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বসিরহাট দক্ষিণ আসন থেকে নির্বাচনে প্রতীদ্বন্দ্বীতা করে বিধায়ক হয়েছিলেন প্রাক্তন স্ট্রাইকার। কিন্তু ২০২১ নির্বাচনে দল টিকিট না দেওয়ায় স্রোতে গা ভাসিয়ে অন্যান্যদের মত বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। কিন্তু পদ্ম শিবিরে রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হলেও, টিকিট পাননি দীপেন্দু। ভোটের ফলাফলের পর মোহভঙ্গ হয় তার। বিজেপি ত্যাগ করেন তিনি। এখন দেখার বিষয় প্রাক্তন বিধায়ককে ফের স্বাগত জানায় কিনা ঘাসফুল শিবির।