সংক্ষিপ্ত
- ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের নাম নিয়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কলকাতায়
- ভুয়ো শংসাপত্রের বদলে মোট ৪০ লক্ষ টাকার ঋণ নেয় ধৃতরা
- এই ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা
- ধৃতদের জেরা করে অন্য় মাথাদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ
মুদিখানার দোকান সাজিয়ে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর তৈরির নামে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির পর্দা ফাঁস খাস কলকাতার বুকে। অভিযোগ, ঋণ নেওয়ার নামে ভুয়ো ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ৪০ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করা হয়েছে। এই ঘটনার পর্দা ফাঁস হতেই চারজনকে গ্রেপ্তার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করে জালিয়াতি চক্রের প্রধানদের কাছে পৌছানোর চেষ্টা করছে তদন্তকারীর দল।
পুলিশি জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম প্রশান্ত মণ্ডল, নবকুমার মিথিয়া, প্রদীপ চক্রবর্তী এবং কৌশিক রায়চৌধুরী। গত ২০১৮ সালে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জওহরলাল নেহেরু রোডের শাখায় যায় ওই চার অভিযুক্ত। মুদির দোকান আধুনিকরণ করার নাম নিয়ে তারা ৬০টি ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট জমা দেয়। যার প্রত্যেকটির মূল্য এক লক্ষ টাকা। ওই শংসাপত্রের বদলে মোট ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নেয় তারা। কিন্তু এরপর প্রায় বছরখানেক কেটে যাওয়ার পরও ঋণের টাকা মেটায়নি অভিযুক্ত ওই ব্য়ক্তিরা। আর মাঝের এই সময়ের মধ্যেই বদলি হয়ে নতুন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ওই শাখায় আসেন।
নতুন ব্যাংক ম্যানেজার আসায়, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে খোঁজখবর শুরু করা হয়। নতুন ওই ম্যানেজারের চেষ্টায় ওই শংসাপত্রগুলি যাচাই ও পরীক্ষা করা হয়। আর তারপরেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। এরপর দেখা যায় যে ওই শংসাপত্রগুলি জাল। অথচ বছরখানেক আগে শংসাপত্রগুলি যাচাই করার পর আসল বলেই রিপোর্ট এসেছিল ব্যাঙ্কের কাছে। এই ঘটনায় ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সন্দেহ হয়, অভিযুক্তদের সঙ্গে জালিয়াতি চক্রের যোগাযোগ রয়েছে। তারপরেই খবর পেয়ে পুলিশ ধৃতদের গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন, কলকাতার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে, বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই
ঘটনার পর, ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। পুলিশি সূত্রের খবর, প্রশান্ত মণ্ডলের নামে ঋণ নেওয়া হয়েছিল। প্রথমে তাঁকেই ফলতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর কলকাতা ও দমদম থেকে বাকিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট উদ্ধার করে। যার প্রতিটির মূল্য ১০ হাজার টাকা করে। এছাড়াও উদ্ধার হয় কিষাণ বিকাশপত্র যার প্রতিটির মূল্য ৫০ হাজার টাকা। পুলিশ জানিয়েছে , ধৃতদের জেরা করে এই জালিয়াতি চক্রের প্রধানের কাছে পৌছানোর চেষ্টা চলছে ।