সংক্ষিপ্ত
গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমিন খানের বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তে নেমে জানা গেছিলো তিনি একটি গেমিং আপের মাধ্যমে একটি আর্থিক প্রতারণা চক্র চালাতেন। অবশেষে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে ধরা পড়েন তিনি ।
গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমিন খানকে অবশেষে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।বেশ কিছুদিন আগে তল্লাশি চালিয়ে তার বাড়ি থেকে ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)...তারপর থেকেই পলাতক ছিলেন আমির। ইডির তত্ত্বাবধানে এতদিন চিরুনি তল্লাশি চলেছে তার খোঁজে। কিন্তু বেশিদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারলেন না তিনি । শুক্রবার রাতে পুলিশের জালে ধরা পড়তে হলো তাকে ।
একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে তিনি আর্থিক প্রতারণা চক্র চালাতেন।তদন্তে উঠে এসেছিলো যে গেমিং এর জন্য যারা যারা গেম খেলতে আসতেন তাদের ওই আপে অল্প টাকা ইনভেস্ট করার পরামর্শ দেওয়া হতো । সেই টাকা চড়া সুদে রিটার্ণও হতো গেমারদের একাউন্টে। এতেই গেমারদের বিশ্বাস জনমাতো ওই আপের প্রতি । তারপর বিশ্বাস করে আরও বড়ো অংকের টাকা ইনভেস্ট করলেই ব্যাস , সেই সব টাকা হরফ করতো আমির। তদন্তে নেমে গার্বেনরিচের শাহী আস্তাবল, মোমিনপুর , পার্ক স্ট্রিট সব মিলিয়ে প্রায় ৬ টি জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। তারপর আমিরের বাড়ি ঘেরাও করলে তার বাড়ির খাতের তোলা থেকে বেরোতে থাকে মোটা মোটা টাকার বান্ডিল।
তল্লাশি অভিযানের সময় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে ইডি জানিয়েছিল যে, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী নিসার আহমেদ খানের ছেলে আমিরের বিরুদ্ধে পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই পুরনো মামলার তদন্তে নেমে আমিরের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে তারা।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের প্রতারণা চক্রে শুধু আমিরই নয় যুক্ত ছিল আরো বেশ কিছু জন। তদন্তে উঠে এসেছে একাধিক ব্যক্তির নাম। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪৬৮, ৪৭১, এবং ৩৪ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ আরো অন্যান্য একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- পুজোর আগে মমতাকে চ্যালেঞ্জ মোদী সরকারের, হেরিটেজ তকমার সেলিব্রেশনে এবার কেন্দ্র
আরও পড়ুন- পুজোর আগেই দিতে হবে প্রিয়াঙ্কার নিয়োগ পত্র, এসএসসিকে কড়া নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের