সংক্ষিপ্ত
টেজ তকমা নিয়ে এবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে বা বলা ভালো টানাপোড়েন শুরু হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে। মমতাকে টপকে এবার দুর্গাপুজোর স্বীকৃতি উদযাপনে, কলকাতায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রক।
ইউনেস্কোর ‘ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’র তালিকায় উঠেছে বাংলার দুর্গাপুজো। গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে আন্তঃসরকার কমিটির ১৬ তম অধিবেশনে 'কলকাতা দুর্গা পূজা' আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়েছিল। আর এই স্বীকৃতিকে রাষ্ট্রীয় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান বাংলায় পর্যটনের ব্যবসা বাড়ুক। বিশ্বের পাঁচটি দেশের কার্নিভাল ইতিমধ্যেই বিশ্ব বিখ্যাত। ঐতিহ্যের খেতাব পাওয়ার পর এই দুর্গাপূজা কার্নিভালে পর্যটনের একই ঢেউ আসুক, এই বিষয়ে আশাবাদী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এই হেরিটেজ তকমা নিয়ে এবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে বা বলা ভালো টানাপোড়েন শুরু হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে। মমতাকে টপকে এবার দুর্গাপুজোর স্বীকৃতি উদযাপনে, কলকাতায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রক। ২৪শে সেপ্টেম্বর কলকাতার ভারতীয় জাদুঘরের প্রাঙ্গণে হবে এই অনুষ্ঠান। বেলা দুটো থেকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষি লেখি ও শিক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।
দুর্গাপুজোর স্বীকৃতি-প্রাপ্তি উদযাপন করতে উদ্য়োগী কেন্দ্র। এই কারণে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। অনুষ্ঠানে অংশ নেবে প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়, ওডিশি নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ও ট্রুপ, নৃত্যশিল্পী গোপা চক্রবর্তী ও ট্রুপ। তবে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ইউনেস্কোর Intangible Cultural Heritage-এর তকমা পেয়েছে বাঙালির দুর্গোৎসব। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের মুকুটে এই পালক যোগ হওয়ার কৃতিত্ব কার? তা নিয়েও এবার সংঘাতে কেন্দ্র এবং রাজ্য। দুর্গাপুজোর স্বীকৃতিপ্রাপ্তি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠান। পশ্চিমবঙ্গে হচ্ছে অনুষ্ঠান। কিন্তু সেখানে রাজ্য সরকারের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যা নিয়ে বেশ জলঘোলা শুরু হয়েছে।
এর আগে, পয়লা সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোকে সম্মান জানিয়ে মহামিছিল করেন মমতা। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে যাত্রা শুরু হয়। কলুটোলা বউবাজার, চাঁদনিচক ডোরিনা ক্রনিং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে রেডরোড মিছিল শেষ হয়। রেড রোডেই হয় মূল অনুষ্ঠানে। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন - যে ধর্মাবলম্বী হই না কেন আমাদের একটাই জাত- সেটা হল উৎসব।' তিনি আরও বলেন 'আমরা বিশ্ব শান্তিতে বিশ্বাস করি। বিশ্বাস করি মানব ধর্মে। তাই মানবিকতার সঙ্গে কোনও আপস নয়। ঐক্য ও মানবিকতাই আমাদের শক্তি ও সম্পদ।' আরও বলেন ধর্ম যার নিজের হতেই পারে। কিন্তু উৎসব সকলের।'
বাংলার দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কোর। সেই জন্য ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পাশাপাশি সংস্থার প্রতিনিধিদের তিনি এই রাজ্য বিশেষ করে কলকতার পুজো মণ্ডপগুলি ঘুরে দেখার আহ্বান জানান। পাশাপাশি অসম ও ত্রিপুরার দুর্গাপুজোর কথাও তুলে ধরেন মমতা।
দুর্গাপুজো পদযাত্রায় বন্ধ রেড রোড, কখন খোলা কোন রাস্তা-রইল বিস্তারিত তথ্য
বিয়ে এখন 'use and throw' হয়ে গেছে, স্বামী-স্ত্রীকে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে লম্বা-চওড়া জ্ঞান আদালতের