সংক্ষিপ্ত

গত ১৭ অক্টোবরবার গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোড়ের বাড়িতে খুন হয়েছিল এক কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীণ মণ্ডল। সুবীর বাবুর দীর্ঘ দিনের সঙ্গী ছিলেন রবীন মণ্ডল। সুবীর চাকী নিউটাউনের একটি বহুতল থাকতেন। সেখান থেকে রবিবার বিকেলি গাড়ির ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে গড়িয়াহাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন। 

গড়িয়াহাট জোড়া খুনের মামলায় (Gariahat Double Murder Case) অবশেষে প্রথম চার্জশিট (Chargesheet) দাখিল করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata police)। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রায় ৮০ জনকে জেরা করা হয়েছে বলে আলিপুর আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে জানিয়েছে পুলিশ। গড়িয়াহাট জোড়াখুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত মিঠু হালদার, বাপি মণ্ডল, জহির গাজি, সঞ্জয় মণ্ডল বিকি হালদার, শুভঙ্কর মণ্ডল- এদের প্রত্যেকেরই নাম চার্জশিটি রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। 

গত ১৭ অক্টোবরবার গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোড়ের বাড়িতে খুন হয়েছিল এক কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীণ মণ্ডল। সুবীর বাবুর দীর্ঘ দিনের সঙ্গী ছিলেন রবীন মণ্ডল। সুবীর চাকী নিউটাউনের একটি বহুতল থাকতেন। সেখান থেকে রবিবার বিকেলি গাড়ির ড্রাইভারকে সঙ্গে নিয়ে গড়িয়াহাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই দিনই তাঁদের খুন করা হয়েছিল। পরের দিন বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দুজনের রক্তাক্ত নিথর দেহ। 

তারপরই ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। ঘটনার ১২ দিনের মাথায় ঘটনার এক অভিযুক্ত সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পুলিশকে যথেষ্টই বেদ পেতে হয় ঘটনার মূল অভিযুক্ত ভিকি ও তার বাকি সঙ্গীদের গ্রেফতার করতে। পুলিশ আগেই জানিয়েছিল গড়িয়াহাটের জোড়া খুন মামলার অন্যতম চক্রী ছিল মিঠু হালদার নামের  এক পরিচারিকা। যে বর্তমানে বাকি অভিযুক্তদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশের হেফাজতে। 

তদন্তকারী দলের সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী অভিযুক্তদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল গড়িয়াহাটে সুবীর চাকীর বাড়িটি হাতিয়ে নেওয়া। যার জন্য আগেই মিঠু হালদার ও তার সাগরেদরা চেষ্টা করেছিল। বাড়ি কেনার নাম করে সুবীর বাবুরে সঙ্গে আগেই কথা বলেছিল। এবারও তারাও বাড়ি কেনার নাম করে সুবীর বাবুকে নিউটাউন থেকে ডেকে এনেছিল। কিন্তু কথা বলার সময় সুবীর বাবু ভিকিকে চিন্তে পেরে যান। তারপরই ভিকি নিজের পরিচয় গোপন করতে প্রথমে সুবীরবাবুকে খুন করে। এই ঘটনার প্রমাণ লোপাটের জন্য খুব করা হয় তার গাড়ির চালককেও। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র ছিল সুবীর বাবুর মোবাইলের কললিস্ট আর স্থানীয় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। ঘটনার মূল অভিযুক্তকে ধরতে কিছুটা হলেও বেগ পেতে হয় পুলিশকে। তাকে ধরা হয়েছিল সুন্দর বন থেকে। জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে বলে পুলিশের দাবি। 

UP Election 2022: দলবদলে কোভিড বিধিভঙ্গ, সমাজবাদী পার্টি অফিসে ২৫০০ মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ

State Vs Governor: নিজের ইচ্ছে শিক্ষা দফতের ওপর চাপাবেন না, ব্রাত্য বসুর নিশানায় রাজ্যপাল

Covid 19 কোভিড আক্রান্ত পুরুষদের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য কমছে, আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের