সংক্ষিপ্ত
এই ঘটনা ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন আঞ্চলিক মানুষ। শুক্রবার রাত ৮টার পর ক্ষুব্ধ জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং অয়নের বান্ধবীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরের যুবক অয়ন মণ্ডলের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পরিবার সহ গ্রেফতার করা হল তাঁর বান্ধবীকে। বান্ধবীর সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর মা এবং ভাইও। শুক্রবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার আগে ধৃতদের আটক করে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সেই জেরার মুখে পড়ে প্রত্যেকেই খুনের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ, বিজয়া দশমীর দিন রাত বারোটা নাগাদ প্রেমিকার ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন হরিদেবপুরের কেওড়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা অয়ন মণ্ডল। যুবকের মায়ের দাবি, সারা রাত ধরে ছেলের কোনও খোঁজ পাননি তাঁরা। পরদিন সকালে অয়নের ওই বান্ধবী বাড়িতেও এসেছিলেন এবং তিনিও অয়নের কোনও খোঁজ জানেন না বলেই জানিয়েছিলেন। ততক্ষণে মগরাহাটের গুরপুকুর পুলিশ ক্যাম্পের কাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে যুবকের দেহ ময়নাতদন্তও করতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন থানায় যুবকের ছবিও পাঠিয়ে দেয় মগরাহাট থানার পুলিশ। বেলা তখন প্রায় দুপুর আড়াইটে। অয়নের পরিবারের লোকজন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করতে যান। শেষবার নেপালগঞ্জে অয়নের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা গেলেও নিখোঁজ ডায়েরি নিতে পুলিশ টালবাহানা করেছে বলেই অভিযোগ নিহতের পরিবারের।
অয়নের পরিবার আরও অভিযোগ করেছে যে, বান্ধবীর পরিবারই খুন করেছে তাদের ছেলেকে। অন্য দিকে, এই ঘটনা ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছেন আঞ্চলিক মানুষ। শুক্রবার রাত ৮টার পর ক্ষুব্ধ জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং অয়নের বান্ধবীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চালানো হয় তাদের প্রতিবেশীর বাড়িতেও।
অন্য দিকে, এও প্রশ্ন উঠেছে যে, নিখোঁজ ডায়েরি করার সময় কেন পুলিশ অয়নের ছবি দেখিয়ে তাঁর বাবা-মাকে দিয়ে শনাক্ত করাল না? ঘটনায় ঘোরতর পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃত অয়নের পরিবার। যদিও পুলিশ একেবারেই তা মানতে নারাজ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, মৃতের দেহে বড় কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। শনিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। এরপর ওই বান্ধবী এবং তাঁর মা ও ভাইকে গ্রেফতার করে ম্যারাথন জেরা করা হলে, কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে নেন ৩ জনই।
আরও পড়ুন-
মাল নদীর হড়পা বানে মানুষের মৃত্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন জলপাইগুড়ির জেলা শাসক
মহালয়ার আগেও এসেছিল হড়পা বান, জল বেড়েছিল নবমীতেও, প্রশ্নের মুখে মালবাজারের প্রশাসনিক তৎপরতা
ষাটোর্ধ হয়েও ঢাকের তালে জমিয়ে ভাসান নাচ! রাইমাকে নিয়ে ‘বিজয়া’ জমিয়ে দিলেন লাস্যময়ী মুনমুন সেন