সংক্ষিপ্ত
- ক্যানসার রোগীদের হাসি ফোটাতে, ন্যাড়া হলেন সৌমিতা
- তাঁর জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি ঘুরিয়ে দিয়েছে দু-দুজনের মৃত্যু
- মুম্বইয়ের একটি সংস্থাকে তিনি নিজের চুল দান করেছেন
- যারা ক্যানসার রোগীদের জন্য় পরচুলা তৈরির ব্য়বস্থা করেন
ক্যানসার রোগীদের মুখে হাসি ফোটাতে, ন্যাড়া হলেন টালিগঞ্জের যুবতী সৌমিতা ভট্টাচার্য। প্রাণের থেকেও প্রিয় দু-দুজনকে হারিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেন সৌমিতা। না নতুন কোনও স্টাইল নয়, নিজের চুল ক্যানসার রোগীদের জন্য় পরচুলা তৈরি করার জন্য় দান করতেই সৌমিতার এই পদক্ষেপ।
নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের ছাত্রী হলেন সৌমিতা ভট্টাচার্য। তাঁর জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি ঘুরিয়ে দিয়েছে দু-দুটো মৃত্যু। একজন হলেন সৌমিতা-র গৃহশিক্ষক এবং অপরজন তাঁর ঠাকুরমা। সৌমিতা জানালেন, ক্যানসার তাঁর সবচেয়ে প্রিয় দুইজনকেই ছিনিয়ে নিয়েছে। গলব্লাডারের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌমিতার ঠাকুরমা। ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর ছোটবেলার শিক্ষক। পরপর এই দুটো মৃত্য়ু তাঁর কাছে মেনে নেওয়াটা খুব কঠিন ছিল।
ঠাকুমার চলে যাওয়ার পর, সৌমিতা নিজের চুল বড় করা শুরু করেন। প্রথমে তাঁর বন্ধু-বান্ধব, চেনা মানুষজন ভাবতে শুরু করে সৌমিতা হয়তো নিজের নতুন স্টাইলে ধরা দেবেন। কিন্তু মুহূর্তেই সে ভূল ভাঙল। হঠাৎ তাঁকে দেখতে পাওয়া গেল টাক মাথা অবস্থায়। আসল কারণটা নিজেই জানালেন, সৌমিতা।
মুম্বইয়ের একটি সংস্থা ক্যানসার রোগীদের জন্য় পরচুলা তৈরি করার ব্য়বস্থা করে দেন। যারাই স্বেচ্ছায় চুল দান করেন, তাঁদের চুল দিয়েই তৈরি হয় এই পরচুলা। তিনি শুনেছেন সারা ভারতের প্রায় ছহাজার লোক, এই কাজে শামিল হয়েছেন। তারপর আর দেরি করেননি টালিগঞ্জের সিরিটির বাসিন্দা সৌমিতা। তাঁর জীবনের প্রিয় দুইজনকে হারানোর পর তিনিও চুল দান করা শুরু করেন। তাঁর জীবনের এখন অন্য়তম উদ্দেশ্য়, নিজের চুল দান করার মধ্য় দিয়েই ক্যানসার রোগীদের মুখে হাসি ফেরানো।