রাজ্যের সঙ্গে চাপানউতোর থামছে না। ফের নাম না করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আগেই রাজ্যপালের নামে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য সরকার। এবার সেই সক্রিয়তার পথ থেকে সরছেন না বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্য়পাল।  

রাজ্যের সঙ্গে চাপানউতোর থামছে না। ফের নাম না করে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত জিইয়ে রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আগেই রাজ্যপালের নামে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য সরকার। এবার সেই সক্রিয়তার পথ থেকে সরছেন না বলে জানিয়ে দিলেন রাজ্য়পাল।

পলতা ইউনাইটেড স্পোর্টিং ক্লাবের সার্বজনীন দুর্গোৎসবের আজ দ্বার উদ্ঘাটন করলেন রাজ্যপাল জয়দীপ ধনখড়। উদ্বোধনের পর তিনি বলেন, রাজ্য়ের প্রথম সেবক হওয়ায় কারণে ভারতের সংবিধানের নামে আমি যে শপথ নিয়েছি, তা আমি পালন করব। এটা আমার দায়িত্ব। যে আমার কাজে বাঁধা দেবে তাকে হাত জোর করে অনুরোধ করব ,যেন আমার কাজে বাধা না দেন। আমার শপথের দুটোই দিক, এক সংবিধানের রক্ষা করা ও দুই পশ্চিমবঙ্গের জনগণের নিরন্তর সক্রিয়ভাবে সেবা করা। 

তবে রাজ্যপাল যাই বলুন না কেন,তাঁর আপাত নিরীহ বক্তব্যের মধ্য়েই সংঘাতের সুর পাচ্ছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল। যাদবপুরে মন্ত্রী নিগ্রহ কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য়ের ঠান্ডা লড়াই চলছে। যাদবপুরের ক্যাম্পাস থেকে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করার পরই রাজ্যপালকে নিয়ে বার্তা দিয়েছিল শাসক দল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী বার বার ওখানে না যেতে অনুরোধ করা সত্ত্বেও রাজ্যপাল ওখানে গেছেন। এখানেই থেমে থাকেনি রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার দ্বন্দ্ব। পরে উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক মিটিংয়ে রাজ্যপাল গেলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না রাজ্য়ের মন্ত্রী আমলারা। যা নিয়ে প্রকাশ্য়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্য়পাল। কেন আমলারা এলেন না তা জানতে চাইবেন বলেই সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দেন জগদীপ ধনখড়। এরপরই তৃণমূল থেকে রাজ্যপালের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। রাজ্য় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তিনি সক্রিয় থাকবেন বলে রাজ্য সরকারের অতি সক্রিয়তার জবাব দিলেন রাজ্যপাল।