সংক্ষিপ্ত

  • পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ফের শিরোনামে
  • বুধববার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বসেছিলেন রাজ্যপাল
  • এই নিয়ে প্রবল বিতর্ক ছড়ায় শিক্ষা ও রাজনৈতিক মহলে 
  • এই ঘটনার পরের দিনই বিধানসভায় রাজ্যপালের প্রবেশেও বিতর্ক

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ফের তোপ দাগলেন রাজ্য সরকারকে। যার জেরে ফের একবার সামনে বেরিয়ে এল রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের সংঘাত। এই সংঘাত যে কোনওভাবেই মিটছে না তা বুধবারই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। কারণ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে রাজ্যপাল-কে বাইরের বারান্দায় বসে থাকতে হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল বিধানসভায় প্রবেশ করতে গিয়ে গেট বিতর্কের সম্মুখিন হন। কারণ এক নম্বর গেট বন্ধ থাকায় রাজ্যপালকে দুই নম্বর গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। এই ঘটনায় তীব্র অপমানিত বোধ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

বৃহস্পতিবার সকালে বিধানসভায় যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সকাল ১০টা নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছলেও কোনও গেট খোলা ছিল না। ফলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর-কে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিধানসভার চৌহদ্দির বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সাধারণত রাজ্যপাল তিন নম্বর গেট দিয়ে ঢোকেন। কিন্তু সেই গেটও ছিল বন্ধ। শেষমেশ দুই নম্বর গেট দিয়ে রাজ্যপাল-কে বিধানসভায় ঢোকানো হয়। 

 

বৃহস্পতিবার সকালে বিধানসভায় যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সকাল ১০টা নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছলেও কোনও গেট খোলা ছিল না। ফলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর-কে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিধানসভার চৌহদ্দির বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সাধারণত রাজ্যপাল তিন নম্বর গেট দিয়ে ঢোকেন। কিন্তু সেই গেটও ছিল বন্ধ। শেষমেশ দুই নম্বর গেট দিয়ে রাজ্যপাল-কে বিধানসভায় ঢোকানো হয়। 

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর-কে অভর্থ্যনা জানানোর জন্য কেউ ছিলেন না। এতে রাজ্যপাল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি জানান প্রোটোকল মেনে অন্তত বিধানসভার অধ্যক্ষককে সেখানে থাকতে হত। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ তো ছিলেন-ই না, এমনকী অনুপস্থিত ছিলেন শাসক দলের পরিষদীয় দল এবং বিরোধী দলনেতা এবং বিরোধী বিধায়করা-ও। পরে অবশ্য বিধানসভায় এসে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। রাজ্যপালের জন্য এরপর লাইব্রেরি খুলে দেওয়া হয়। সেখানে মিনিট কুড়ি সময় কাটিয়ে তিনি বেরিয়ে যান। 

 

বেরিয়ে যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল। বিধানসভায় যে ভাবে গেট বন্ধ রাখা হয়েছিল তার তীব্র সমালোচনা করেন এবং এতে তাঁকে নয় গণতন্ত্রকে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। রাজ্যপালকে অভর্থ্যনা জানাতে কেন সরকারের তরফে কেউ থাকল না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিধানসভায় এই নিস্তবদ্ধতা কেন তাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। রাজ্যপাল জানান, এদিন বিধানসভায় তাঁকে মধ্যাহ্নভোজের জন্যও নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, সেই নিমন্ত্রণ যে বাতিল করা হয়েছে তা রাজভবনকে জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি যখন বিধানসভায় আসেন তখন নাকি জানতে পারেন যে অধ্যক্ষের রাখা মধ্যাহ্নভোজ বাতিল করা হয়েছে। খোদ অধ্যক্ষের নির্দেশেই এটা হয়েছে বলেও জানানা রাজ্যপাল। তিনি আরও জানান যে দীর্ঘদিন ধরে কিছু বিল বিধানসভায় আটকে রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সেই সব বিলে সই করার কথা ছিল। এই বিষয়টি খোদ অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত করেছিলেন। কিন্তু, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর জানিয়েছেন, তিনি যে বিধানসভায় আসছেন সে তথ্য বিধানসভার কর্মীদের কাছেই ছিল না। 

রাজ্যপাল বনাম রাজ্য সরকারের সংঘাতে বলতে গেলে এদিন চরম আকার নিল। বুধবারই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন আচার্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। কিন্তু, তিনি সোজা দ্বারভাঙা ভবনে গেলেও সেখানে তাঁকে অভর্থ্যনা জানাতে কেউ হাজির ছিলেন না। এরপর রাজ্যপাল উপাচার্যের ঘরের সামনে গেলেও তা ছিল বন্ধ। কোনও কর্মী উপাচার্যের ঘর খুলে দিয়ে রাজ্যপালকে বসতে দেননি। এরপর রাজ্যপাল সেনেটে-র সভা যে ঘরে হয় তার দরজা খুলতে বলেন। কিন্তু, কর্মীরা তা খুলে দেননি বলে অভিযোগ। এরপর রাজ্যপাল বেরিয়ে চলে যান। এই নিয়ে বিপুল বিতর্ক হয়। উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী পরে জানিয়েছিলেন, তিনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবেন না তা রাজ্যপাল জানতেন। এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্যপাল গোটা বিষয়টিকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা সফল হবে না। রাজ্যপালের মতো শিক্ষামন্ত্রী সবসময় শিক্ষালয়ে গিয়ে বসে থাকেন না বলেও জানান পার্থ।