কাশ্মীরে পাক হামলায় শহিদ নদিয়ার সুবোধ ঘোষ রবিবার রাতে তাঁর শেষকৃত্য হল গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠানে বিজেপি সাংসদকে 'ঢুকতে বাধা' টুইটে সরকার ও পুলিশকে একহাত নিলেন রাজ্যপাল

নদিয়ায় শহিদ সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্যকে ঘিরে বিতর্ক। শেষকৃত্যে সময়ে খোদ বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রবেশে বাধা! টুইট করে রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়েও।

আরও পড়ুন: রেণু দেবীর হাওড়া থেকে বিহার যাত্রা, সাধারণ এক গৃহবধূ থেকে বিহারে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার ইতিকথা

নিজের যোগ্যতায় অল্প বয়েসেই সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়েছিলেন নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুরের বাসিন্দা সুবোধ ঘোষ। বিয়েও করেছিলেন তিনি, মেয়ের বয়স মাত্র তিন মাস। জুলাই মাসে শেষবার ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন সুবোধ। বলে গিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে আবার আসবেন। কিন্তু সেকথা আর রাখতে পারলেন না! শুক্রবার কাশ্মীরে সীমান্ত লাগোয়া চারটি জায়গায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে অতর্কিত হামলা চালায় পাক সেনা। শহিদ হন চারজন ভারতীয় জওয়ান। তাঁদের মধ্যে ছিলেন নদিয়ার সুবোধ ঘোষও। রবিবার রাতে শহিদের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছতেই পাকিস্তান বিরোধী স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা গ্রামে। ছেলের মৃতদেহের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। স্থানীয় একটি স্কুলের মাঠে গান স্যালুটের পর পলাশি শশ্মানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বাঙালি জওয়ানে। 

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগেই কি জেলে যাবেন মুকুল রায়, ভোটযুদ্ধে জিততে কী কৌশল নিচ্ছে বিজেপি

মঙ্গলবার টুইটারে দটি ভিডিও পোস্ট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে, শহিদ সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্যের সময়ে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে শশ্মানে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। রাজ্যপাল লিখেছেন, 'একদিকে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হচ্ছে শাসকদলের সাংসদকে। অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে রাজ্যের পুলিশ। রাজনৈতিক নেতাদের মতো আচরণ করছে।' কিন্তু কেন এমনটা করা হল? কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…