সংক্ষিপ্ত
- টিটাগড়ে বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন
- জরুরি তলবেও রাজভবনে গরহাজির স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি
- মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলেন রাজ্যপাল
- রাজভবন-নবান্ন সংঘাতে যোগ হল নয়ামাত্রা
দলের নেতা মনীশ শুক্লাকে খুনের প্রতিবাদে ব্যারাকপুরে যখন বনধ পালন করছে, তখন কলকাতায় জরুরি তলব পেয়েও রাজভবনে গেলেন না স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। প্রশাসনের দুই শীর্ষ আধিকারিকের দেখা না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন টুইটারে।
আরও পড়ুন: ব্য়ারাকপুরে চলছে ১২ ঘন্টার বনধ, রাস্তায় নামলেই বাড়ি পাঠাচ্ছে গেরুয়া শিবির
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সন্ধেবেলা। উত্তর ২৪ পরগণার টিটাগড় থানার সামনে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে মাথায় ও বুকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ভর্তি করা হয় ব্য়ারাকপুরের একটি হাসপাতালে। পরে গুলিবিদ্ধ বিজেপি নেতাকে স্থানান্তরিত করা হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যুর সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর রাতেই জীবনযুদ্ধে হার মানেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মণীশ শুক্লা। এরপর পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে টিটাগড়ে। বিটি অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়াশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা। এলাকায় নামানো হয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার ব্যারাকপুরে বারো ঘণ্টার ডাক দেয় বিজেপি।
এদিকে টিটাগড়ে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে খুনের ঘটনার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রবিবার রাতে টুইট করে স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য় পুলিশের ডিজিকে জরুরিভিত্তিতে রাজভবনে তলব করেন তিনি। টুইটে তিনি জানান, সোমবার সকালে দশটা যেন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন প্রশাসন ও পুলিশের দুই শীর্ষ আধিকারিকরা।
স্বরাষ্ট্রসচিব কিংবা রাজ্যে পুলিশের ডিজি, সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে কিন্তু রাজভবনে যাননি কেউ। এরপর ফের টুইট করে ক্ষুদ্ধ জগদীপ ধনখড়। জানান, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরিভিত্তিতে কথা বলতে চান তিনি।
উল্লেখ্য়, এর আগে বেশ কয়েকবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাস জগদীপ ধনখড়। কথা বলতে চেয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রের সঙ্গে। কিন্তু প্রতিবারই তাঁর টুইটবার্তা বিফলে যায়। তাতে এতটাই ক্ষুদ্ধ হয়েছিলেন যে, ডিজিপি-এর বিরুদ্ধে শাসকদলের হয়ে কাজ করার মতো গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যপাল। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। এবার কি হবে? সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।