সংক্ষিপ্ত
প্রথম তারিখটি ছিল ২০ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় তারিখটি ছিল ২৩ ডিসেম্বর। এই দুদিন রাজ্যের ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যকে ডেকে পাঠান আচার্যতথা রাজ্যপাল। কিন্তু, তাঁর আহ্বানে উপাচার্যরা সাড়া দিচ্ছেন না বলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়।
বছরের শেষের মুখেও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত(State-Governor conflict) যেন কিছুতেই মিটছে না। এবার আচর্য ইস্যুতে সরাসরি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে(Governor Jagdeep Dhankhar)। প্রথম তারিখটি ছিল ২০ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় তারিখটি ছিল ২৩ ডিসেম্বর। এই দুদিন রাজ্যের ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের (Private University) উপাচার্যকে ডেকে পাঠান আচার্য(Chancellor) তথা রাজ্যপাল। কিন্তু, তাঁর আহ্বানে উপাচার্যরা সাড়া দিচ্ছেন না বলে একের পর এক ট্যুইট করে ক্ষোভ উগড়ে দেন জগদীপ ধনকড়। অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর(Education Minister Bratya Basu) কার্যত কটাক্ষের সুরেই বলেন, “রাজ্যের বিশ্ব বিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। দিনের পর দিন ফাইল ধরে রাখে, বিন্দুমাত্র সহযোগিতার মনোভাব না দেখালে আমাদের বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবতেই হবে। অন্তত অন্তবর্তী সময়ের জন্য আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনতে পারি কি না সেই বিষয়ে আলোচনা করে দেখা হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও একাধিক ইস্যু কখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee) তো কখনও সরকারি আমলাদের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে।সম্প্রতি বালিকে হাওড়া পুরসভা থেকে বিচ্ছিন্নকরণ নিয়েও একাধিকবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চকমে উঠেছে। এমতাবস্থায় এবার শিক্ষামন্ত্রী-রাজ্যপাল সংঘাত নিয়ে নতুন করে পড়ে গিয়েছে সাড়া। তবে এদিন এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে খানিক ক্ষোভ ও অভিমান মিশ্রিত কণ্ঠে রাজ্যপালকে বলতে শোনা যায়, "শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর করবেন। উনি ওঁকে রাজ্যপালই করে দিন।” রাজ্যপালের এই মন্তব্য নিয়েই বর্তমানে জোরদার চাপানউতর চলছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন- রাজ্য কমিটির পর সুকান্তের নজর এবার জেলায়, ৪২টি সাংগঠনিক জেলায় ৩০টিতেই বড় রদবদল
এদিকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যরা(Vice-Chancellor of private universities) রাজ্যপালের বৈঠকে না আসায় টুইটে রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে দেখা যায় রাজ্যপাল দাবি। বিস্ফোরক টুইটেই তাঁর দাবি, ‘ভয়ঙ্কর ইউনিয়নবাজি চলছে গোটা রাজ্যজুড়ে।রাজ্য সরকারের ভয়ে আসতে পারছেন না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।’ এই টুইটের পরেই দফায় দফায় তোপ দেখতে দেখা যায় শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। তার দাবি, সরাসরি রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর সেই কারণেই তাকে আচার্য পদ থেকে তাঁকে সরানোর বিষয়েও সোচ্চার হন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। এমনকী এই বিষয়ে সাংবিধানিক ও আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।