সংক্ষিপ্ত

হাফিজুলের বাবার দাবি, ছেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করতে চায়। আর সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর ছেলে মানসিকভারসাম্য হারিয়েছে।

গভীররাতে কালীঘাটের আগন্তুককে নিয়ে এখনও জলঘোলা চলছে। পুলিশের জেরায় কালীঘাটের আগন্তুক হাফিজুল মোল্লা জানিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িকে সে নাকি কলকাতা পুলিশের হেডকোয়াটার মনে করেছিল। তাই মধ্যরাতে ঢুকে পড়েছিল। কিন্তু এবার তার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির আগমণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অন্য দাবি শোনালেন তাঁর বাবা। যা শুনলেন রীতমত অবাক হয়ে যাবেন আপনি। 

হাফিজুলের বাবার দাবি, ছেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিয়ে করতে চায়। আর সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন তাঁর ছেলে মানসিকভারসাম্য হারিয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে হাফিজুলের ঝামেলা হয়েছিল। তারপরই উদ্ভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়ায়। আর 'স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা করার পরই নাকি হাফিজুল মমতাকে বিয়ে করব মাঝে মাঝেই বলে।' - এমন চকমপ্রদ দাবিও করেছেন তিনি। 

হাফিজুলের বাবা আরও বলেছেন, এটাই প্রথম বার নয়। এর আগেই ছেলে নাকি একই গোঁ নিয়ে হাসনাবাদ থেকে হানা দিয়েছিল নবান্নে। সেখানে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তারপর অনেক বুঝিয়েসুঝিয়ে ছেলেকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে ফিরেও হাফিজুলকে বোঝান- সে যা চাইছে তা কোনও দিনও সম্ভব নয়। হাফিজুলের বাবা আরও বলেছেন- তাঁর ছেলে পাগল তাই এমন করছে।  ছেলের মানসিক চিকিৎসা চলছে। তবুও ছেলে এদিক সেদিকে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মাঝেই বেপাত্তা হয়ে যায়। তাঁর ছেলে হাসনাবাদ থেকে কী করে কলকাতা এল- এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি যা বলেন তা রীতিমত ভয়ঙ্কর। তাঁর মানসিক বিকারগ্রস্ত ছেলে নাকি গাড়ি চালায়। আর সেই কারণে হাওড়া কলকাতা যাতায়াত করতে পারে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর হাফিজুল পুলিশি জেরায় নিজেকে গাড়ির ড্রাইভার হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল। আরও জানায়েছিল সে খুব ভাল গাড়ি চালাতে পারে। 

হাফিজুলের স্ত্রীও জানিয়েছে তাঁর স্বামী গাড়ি চালায়। মাথার সমস্যা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্ত্রী। পুলিশ তাঁর বাড়িতেও তদন্তের স্বার্থে গেছে। এর বেশি আর কিছুই জানাননি হাফিজুলের স্ত্রী। 

পুলিশ সূত্রের খবর রবিবার রাত ১টা বেজে ২০ মিনিটে মমতার কালীঘাটের বাড়়িতে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে ঢুকে পড়েছিল হাফিজুল মোল্লা। তারপর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত মমতার বাড়ির মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। সকাল ৮টার সময় তাকে দেখতে পায় কর্তৃব্যরত পুলিশ কর্মীরা। তারাই গ্রেফতার করে নিয়ে যায় লালবাদারে। সেখানেই দফায় দফায় জেরা করা হয়।

কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীরা জানিয়েছে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলে তদন্তকারীরা। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারনা পেতে চাাইছে কলকাতা পুলিশ। ধৃতের অতীত সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে এই ব্যক্তি কী করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অতক্ষণ ৩৪বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মমতার বাড়িতে ছিল। আর কী করেই বা ঢুকেছিল। তবে ধৃতের কথাবার্তায় বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।