সংক্ষিপ্ত
- বন্দরের এক কর্মী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত
- তিনি সম্প্রতি দিল্লিতে নিজামুদ্দিন অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন
- তারপর দিল্লি ফেরার পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে
- এরপরই হলদিয়া বন্দরের কাজকর্ম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়
দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার পর অন্যান্য জরুরি পরিষেবার মতো স্বাভাবিক কাজকর্ম হচ্ছিল কলকাতা-হলদিয়া বন্দরে। জাহাজ থেকে মাল খালাসের কাজ চলছিল। এর মধ্যে সমস্য়া বাধে আইআরসি প্রাইভেট বার্থের একজন কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ায়। জানা যায়, বন্দরের এক কর্মী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত।
আক্রান্ত, পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ
সম্প্রতি বন্দরের ওই কর্মী দিল্লিতে নিজামুদ্দিন মারকাজে তবলিঘি জামাতের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।এই অনুষ্ঠানে জমায়েতকারী ৯০০০ জন মানুষ চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র সরকার। তাঁদের মধ্যে এই ব্যক্তিও ছিলেন। বুধবারই তাঁকে উদ্ধার করে কোয়ারেন্টাইনে রাখার বন্দোবস্ত করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এই খবর চাউর হয়ে যেতেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়ে হলদিয়া বন্দরে। কারণ ওই ব্যক্তি বন্দরের একটি বেসরকারি ক্রেন অপারেটিং সংস্থায় সুপার ভাইজারের কাজ করেন। তারপর এখানে এক সপ্তাহ ধরে কাজ করছিলেন। ফলে বন্দরের বাকি সমস্ত কর্মী আতঙ্কে কাজ আসেননি শুক্রবার। যার দরুণ হলদিয়া বন্দরের কাজকর্ম সম্পূর্ণ বন্ধ বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, করোনার জের, চলতি বছরে বড়সড় কোপ কলকাতার সেরা দুর্গাপুজোর বাজেটেও
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ২৪ মার্চ দিল্লি থেকে ফেরার পর বন্দরে কর্মস্থলে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে। এখন বন্দরের ওই বার্থের সিসিটিভি ক্যামেরা চেকিং করে ওই ব্যক্তির গতিবিধি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার অমল দত্ত বলেন, ওই ব্যক্তি বন্দরে দিল্লি থেকে ফেরার পর বন্দরে এসেছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তা দেখা হচ্ছে। তাই হলদিয়া বন্দরের কাজকর্ম আপাতত বন্ধ রয়েছে। যাঁরা আগে কাজে এসেছিলেন তাঁরাও চলে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
ফের তথ্য গোপন করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ভাইয়ের, আইসোলেশনে ভর্তি বরানগরের বাসিন্দা
জ্বর নিয়েই ট্রেন করে একটানা অফিস, ভয়ে কাঁটা রাজ্য়ের করোনা আক্রান্তর সহকর্মীরা
রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের হদিশ,সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২২