সংক্ষিপ্ত
- ভারতের প্রচুর তথ্য তুলে দেওয়া হচ্ছিল চিনে
- হানের থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে
- কিন্তু অভিযোগ মিললেও 'গুপ্তচর' বলা যাবে না
- বিবৃতি জারি করেছে চিনা রাষ্ট্রদূতের অফিস
ধৃত চিনা অনুপ্রবেশকারী হান জুনয়েই (Han Junwei)কে 'গুপ্তচর' বলাতেই বাধ সাধল চীন। ভারতের সিম কার্ড পাচার করা হচ্ছিল, তথ্য তুলে দেওয়া হচ্ছিল চিনে। মালদা থেকে গ্রেফতার হওয়া চিনা অনুপ্রবেশকারী হানের কাছ থেকে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছিল। কিন্তু ভারতে যখন হান জুনয়েই-র বিরুদ্ধে মামলা চলছে , তখন তাঁকে গুপ্তচর বলা যাবে না। এমনটই বিবৃতি জারি করেছে ভারতের অবস্থিত চিনা রাষ্ট্রদূতের অফিস।
আরও পড়ুন, উত্তরবঙ্গ ভেঙে পৃথক রাজ্যের দাবি, 'ষড়যন্ত্র'-র অভিযোগে BJP সাংসদের বিরুদ্ধে FIR
প্রসঙ্গত, জুন মাসেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় চিনা নাগরিক হান জুনয়েই (Han Junwei)কে। মূলত গুপ্তচর বৃত্তিরই অভিযোগ উঠেছে ধৃতের বিরুদ্ধে। হানের তদন্তভার দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-কে। এদিকে চিনা নাগরিকের সঙ্গে চিনের সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনাও জোরাল হয়ে উঠেছে। এরই সঙ্গে হাওয়ালাযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু, হান জুনয়েকে 'গুপ্তচর' বলাতেই আপত্তি জানাল ভারতের অবস্থিত চিনা রাষ্ট্রদূতের অফিস। তবে এরই সঙ্গে হান জুনয়েই -কে গ্রেফতার করায় ভারতীয় গোয়েন্দাদের বড় সাফল্য বলাতও আপত্তি জানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন, 'কোভিড পরিস্থিতিতে আশার আলো যোগচর্চা',আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে শুভেচ্ছা বার্তা মোদীর
কনসাল জেনারেলের অফিস থেকে জারি করা হয়েছে ভারতীয় সংস্থা যাতে ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চিনা নাগরিকের সঙ্গে আচরণ করে এবং তাঁকে সব ধরণের সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে। চিনা নাগরিকের সকল তথ্য চিনকে জানানোর কথা বলে হয়েছে ওই বিবৃতিতে। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার এই মামলার তদন্তভার, মালদা জেলা পুলিশের থেকে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ-কে হস্তান্তরিত করা হয়েছে। এর আগে ১৮ জুন তারিখ পর্যন্ত ওই চিনা অনুপ্রবেশকারীকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল মালদহ আদালত। এতদিন, তাকে কালিয়াচক থানার লক-আপে রেখে তদন্ত করছিল জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস