সংক্ষিপ্ত
হরিদেবপুরকাণ্ডে পুলিশের হাতে এল সিসিটিভি ফুটেজ। এরপরে এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখতেই, দুই যুবকের গতিবিধিতে ধোঁয়াশা লাগল পুলিশের।
হরিদেবপুরকাণ্ডে পুলিশের হাতে এল সিসিটিভি ফুটেজ। উল্লেখ্য, হরিদেবপুরের ৪১ পল্লী ক্লাবের সামনে থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বোমা হরিদেবপুরের ৪১ পল্লী ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।এরপরে এলাকার সিসিটিভি খতিয়ে দেখতেই, দুই যুবকের গতিবিধিতে ধোঁয়াশা লাগল পুলিশের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নির্দেশের পর এমনিতেই রাজ্যেজুড়ে কড়া তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এবার হরিদেবপুর থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। হরিদেবপুরের ৪১ পল্লী ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটো থেকেই থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার করে। মূলত শুক্রবার রাতে দীর্ঘক্ষণ একটি অটো দাঁড়িয়ে থাকায় সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। এরপর হরিদেবপুর থানায় খবর যায়। পুলিশ এসে ওই অটোর মধ্য থেকে ১৯ টি বোমা, ২ রাউন্ড গুলি এবং একটি বন্দুক উদ্ধার করেছে। তবে কি সামনে বড় কোনও হামলা, বা বিস্ফোরণের ছক কষেছিল দুষ্কৃতিরা, এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এল কোথা থেকে, কোথাইবা পাচার করা হচ্ছিল, প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগাযোগ এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনার শিকড়ে পৌছতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, অটোয় নাবালিকার গোপানাঙ্গে স্পর্শ, মানিকতলায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার খোদ পুলিশই
প্রাক্তন পুলিশকর্তা অনিল জানা বলেছেন, 'হতে পারে এগুলি কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ বা কাউকে দেখে হয়তো এগুলি রেখে পালিয়ে গিয়েছে। চৈত্র সেলের ক্লিয়ারেন্স এসব। এরফলে জায়গায় জায়গায় বোমাবাজি, কথায় কথায় পিস্তল বের করা হচ্ছে। এভাবেই চলতে হবে প্রশাসনকে দলী স্বার্থে ব্যবহার করা হলে এগুলি তো দেখতেই হবে।' এই ঘটনার পর দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। ভোটে জেতানোর জন্য, রাজনীতির জন্য ব্যবহার হচ্ছে পুলিশ ।' বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'গোটা রাজ্য বারুদের স্তুপ হয়ে রয়েছে। এই ইজারা কাদের।' ওপাশে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'এখানে বেআইনি অস্ত্র ঢুকছে না। দুষ্কৃতিরা সমাজে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। পুলিশ সেটাই উদ্বার করছে। অস্ত্র বিহার ,ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসছে।'
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে রামপুরহাট-সহ একাধিক কাণ্ড নিয়ে উত্তাল সারা রাজ্য। রামপুরহাটে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নির্দেশ দেন রাজ্যের যেখানে যেখানে অবৈধ ভাবে বোমা-গুলি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত আছে সেগুলি দ্রুত উদ্ধার করতে হবে। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর মুহূর্তে জোর কদমে অভিযান চলছে। তযদিও এদিনের হরিদেবপুরের ঘটনায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী। যদি ওই অটোটি থেকে ওই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার না হত, কী পরিণতি অপেক্ষা করত, তা ভাবলে এখনও শিউরে উঠেছেন সবাই।
আরও পড়ুন, দরজা আটকে বাইরে পাহারা দিলেন মহিলা, নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার বিজেপি নেত্রী-সহ ৪