স্কুলের মধ্যে ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরে চুমু প্রধানশিক্ষকের, ভিডিও ভাইরাল হতে অভিযোগ দায়ের

স্কুলের (School) মধ্যেই ছাত্রীকে (Girl Student) যৌন হেনস্থা (Sexual Assault)। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে অভিযুক্ত প্রধানশিক্ষকের (Head Master) বিরুদ্ধে। শনিবার তেমনই জানিয়েছে পুলিশ (Police)। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কর্নাটকের  (Karnataka) মহীশুরের এইচডিকোট শহরে এক ছাত্রীকে ক্লাসের মধ্যেই চুম্বন (Kissing) করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিশু প্রতিরোধ আইন বা পকসো (POCSO)-র অধীনে যৌন নিপীড়ণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক, তাঁর চেয়ারের কাছেই স্কুলের এক ছাত্রীকে চুমু খাচ্ছেন। সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তারপরই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসী ও পড়ুয়ারা। 

সূত্রের খবর ভিডিওটি স্কুলের মধ্যেই শ্যুট করা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের ঘরে এই ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ছাত্রীটি তার প্রয়োজনে গিয়েছিল। সূত্রের খবর স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানলার বাইরে দাঁড়িয়ে ভিডিওটি শ্যুট করেছে। ছাত্রীটি যখন দেখেছিল তাদের ওই অবস্থায় শ্যুট করা হচ্ছে তখন সে সরে যায়। 

ব্লক শিক্ষা আধিকারিকের দফতরে স্কুলের মধ্যেই ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান হয়েছে। মামলা দায়ের করা হয়েছে এইচডি কোটা পুলিশ স্টেশন। পুলিশ জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। ভিডিওটিকর সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ও হেফাজতে নেওয়া হবে।  

স্থানীয় বুদ্ধিজীবিদের মতে এমনিতেই এই দেশে মেয়েদের শিক্ষার হার কম। দীর্ঘ আড়াই বছরের বেশি ধরে করোনাভাইরাসের মহামারি চলার করণে ব্যাহত হয়েছে পড়াশুনা। এই সময় স্কুলছুটের সংখ্যাও বেড়েছে অনেকা। পড়ুয়াদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তারই মধ্যে স্কুলের মধ্যে ছাত্রীর যৌন হেনস্তার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার নতুন করে সমস্যা বাড়তে পারে। বেড়

সম্প্রতি দেশে মহিলা নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লিতে কস্তুরবা নগরে বেশ কয়েকজন অবৈধ মদ বিক্রেতা  ২০ বছরের মহিলাকে গণধর্ষণ করে। তারপর তার মাথা কামিয়ে তার মুখ কালো করে রাস্তা দিয়ে হাঁটায়। নির্যাতিতা মহিলাকে একটি জুতোর মালাও পরানো হয়েছিল। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মহিলা যখন চরম এই অপমান সহ্য করে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন তখন তাঁকে দেখে রীতিমত আনন্দে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় মহিলা ও পুরুষরা। যা নিয়েও তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন মহিলা কমিশনের সদস্যরা। স্বাতী  মালিওয়াল বলেছেন, তিনি পুলিশকে নোটিশ দিয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত সকলেরই  শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।