সংক্ষিপ্ত

গাইনোকোলজি বিভাগের ওপিডিতে জমে জল। শুধু তাই নয়, টিকিট কাউন্টারের সামনেও জল থইথই পরিস্থিতি এসএসকেএমে। 

সরকারি হাসপাতাল হিসেবে এসএসকেএম (SSKM Hospital) রাজ্যের (West Bengal) বেশিরভাগ মানুষের চিকিৎসা করানোর ভরসা। কিন্তু দুদিনের টানা বৃষ্টিতে আপাতত সেই ভরসা জলের তলায় (Water logged)। কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে রাখা জীবনদায়ী ওষুধের বড়সড় ক্ষতিতে বিপর্যয়ের মুখে এসএসকেএমের চিকিৎসা পরিষেবা। গাইনোকোলজি বিভাগের ওপিডিতে জমে জল। শুধু তাই নয়, টিকিট কাউন্টারের সামনেও জল থইথই পরিস্থিতি এসএসকেএমে। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পিছন থেকে ছুরি মেরেছে শুভেন্দু, মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা ফিরহাদ হাকিমের

টিকিট কাউন্টারে কাজ চলছে জলের মধ্যে বসেই। কর্মীদের দেখা গেল চেয়ারের ওপর পা তুলে বসে কাজ চালাতে। এসএসকেএমের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন এই জল যন্ত্রণার সমস্যা ২০০৫ সাল থেকে ভোগ করে আসছে হাসপাতাল। একটু বেশি বৃষ্টিতেই জল জমে যায় হাসপাতাল চত্বরে। শুধু এসএসকেএম নয়, জল জমে নরক যন্ত্রণা ভোগ করছে যাদবপুরের কেপিসি হাসপাতালও। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সারাদিন ধরে পাম্প করেও জমা জল বের করতে পারেননি তারা। ক্যাম্পাসটি নীচু এলাকায় হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। 

ভ্যাকসিনের সূঁচ অর্ধেক ভেঙে ঢুকে গেল শরীরে, প্যারালাইসিস হয়ে মৃত্যুর মুখে যুবক

পাশাপাশি জানা গিয়েছে, বৃষ্টির জল ভিতরে গিয়ে কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের দোকানের নিচ তলা প্লাবিত করেছে। ফলে সেখানে রাখা বেশ কয়েকটি জীবনদায়ী ওষুধ, অন্যান্য ওষুধ এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য মঙ্গলবার শহর ও শহরতলিতে আকাশ মেঘলাই রয়েছে। এদিনও বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ভারী বৃষ্টিতে ব্য়াহত হয়েছে বিমান পরিষেবা এবং রেল পরিষেবা। জলের তলায় শহরের রাস্তাও।  ক্রমাগত বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহর কলকাতা ও হাওড়ার অধিকাংশ অঞ্চল। দক্ষিণ কলকাতা বেশিরভাগ এলাকার রাস্তাঘাটই  জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। তবে মঙ্গলবারও বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই। মঙ্গলবার থেকে কলকাতা-সহ পূর্বদিকের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও বৃষ্টি বাড়বে পশ্চিমের জেলাগুলিতে।