সংক্ষিপ্ত

রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত কমিটি। যদিও তার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে সরব হয় তৃণমূল। 

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় আজ রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ সকাল ১১টায় হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ এই মামলার রায় ঘোষণা করবে। এই বেঞ্চে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল, বিচারপতি হরিশ টন্ডন, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। 

একুশের বিধানসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ আসে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় কর্মীদের উপর তৃণমূল কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি। এরপর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছিল হাইকোর্টে। সব পিটিশনের শুনানি ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। 

এই মামলায় হাইকোর্ট অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১৮ জুন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই কমিটি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রিপোর্ট সংগ্রহ করে। এরপর ১৩ জুলাই সেই চূড়ান্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়। সেই রিপোর্টে উঠে এসেছিল রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ছবিটা। যার জেরে হাইকোর্টে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসায় জখমদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। যাঁদের রেশন কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। 

আরও পড়ুন- গ্রামে ৫০ শতাংশ টিকাকরণ হলেই চলবে লোকাল ট্রেন, বড় ঘোষণা মমতার

এদিকে রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠিত কমিটি। যদিও তার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে সরব হয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মামলার তদন্তভার গ্রহণে প্রস্তুত বলে হাইকোর্টে জানিয়েছিল কেন্দ্র। 

আরও পড়ুন- নবান্নের সামনে বেতনবৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ শিক্ষকদের, আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার করল পুলিশ

যদিও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৈরি করা কমিটির রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি-র আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তিনি বলেছিলেন, "আমরা এই কমিটির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছি। বোঝাই যাচ্ছে এরা পক্ষপাতদুষ্ট। যদি একজন সদস্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে, তাহলেই এই রিপোর্ট খারিজ করে দেওয়া উচিত।"

আরও পড়ুন- নেই পর্যটক, অযত্নে-অবহেলায় এ কী হাল বিখ্যাত হাজারদুয়ারির, দেখুন ছবি

এরপরই দুই পক্ষের সওয়াল শুনে কেন্দ্রের আইনজীবীকে বিচারপতি ইন্দপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, আদালতের সামনে যে রিপোর্ট পেশ হয়েছে সেখানে সব অভিযোগ আছে। রাজ্য জানিয়েছে অনেক অভিযোগেই কোন অপরাধের উল্লেখ নেই। এই মুহূর্তে সব এফআইআর-ই রাজ্য পুলিশের কাছে আছে। রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে নিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়ার এটা কি উপযুক্ত সময়। 

এরপরই মামলার শুনানি শেষ হয়ে যায়। যদিও রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। আজ সকাল ১১টার সময় এই মামলার রায় ঘোষণা করবে বৃহত্তর বেঞ্চ।

 

YouTube video player