সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউন কেড়ে নিল প্রাণ
  • আর্থিক অনটনের জেরে আত্মহত্যা করলেন গৃহবধূ
  • পরিবারের আর্থিক অনটনের চাপ নিতে না পেরেই চরম সিদ্ধান্ত
  • ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার সরশুনা থানার অন্তর্গত মারলিন আবাসনে

লকডাউন কেড়ে নিল প্রাণ। আর্থিক অনটনের জেরে আত্মহত্যা করলেন গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার সরশুনা থানার অন্তর্গত মারলিন আবাসনে। জানা গিয়েছে, ৫২ বছর বয়েসী ওই মহিলার নাম কৃষ্ণা সেন।  স্বামীর নাম নরেন সেন। তিনি কর্পোরেশনের ক্যাজুয়ালে কর্মরত। মাসিক বেতন ৬২০০ টাকা। লকডাউনের আগে ছেলের বেতন ও স্বামীর বেতন দিয়ে কোনরকমে সংসার চলছিল। লকডাউন হওয়ার পর ছেলের বেতন ঠিকঠাকভাবে না পাওয়ায় অশান্তি শুরু হয়। 

বুধবার থেকে কলকাতায় চালু হচ্ছে বাস পরিষেবা, বাসকর্মীদের হাজিরার নির্দেশ

এছাড়াও স্বামী নরেন বাবুর চিকিৎসার জন্য তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল পরিবারে। ধীরে ধীরে সেই টাকা শোধ করছিলেন। কিন্তু আর্থিক অনটনের জন্য বেশ কয়েক মাস ধরে আর টাকা শোধ করতে পারছিলেন না তাঁরা। এই নিয়েও মানসিক অশান্তি প্রবল হয়ে ওঠে ওই পরিবারে। সোমবার অফিস যাওয়ার জন্য মায়ের কাছে টাকা চাইতেই ছেলের সঙ্গেও ঝগড়া হয়। এরপরেই অফিসে বেরিয়ে যায় ছেলে। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামী নরেন বাবুর কাছে টাকা না থাকায় সরশুনা থেকে হেঁটে মোমিনপুর পর্যন্ত হেঁটে কাজে যান তিনি। এই আর্থিক অনটনের বোঝা সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা বলে মনে করছে পুলিশ। সেদিন নরেন বাবু যখন রাত্রি সাড়ে দশটার নাগাদ বাড়ি ফেরেন, তখন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকতে দেখেন। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলে দেখে যে পাখার মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন ওই গৃহবধূ। তখনই সরশুনা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। 

আরও পড়ুন - সুন্দর সকালের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে পুরুলিয়া, করোনা ছুঁতে পারেনি ৮০টি গ্রামকে

আরও পড়ুন - লাগবে মাস্ক-স্যানিটাইজার, নতুন নিয়ম মেনে বুধবার থেকে খুলছে তারাপীঠ মন্দির

সরশুনা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে সরশুনা থানার পুলিশ।