সংক্ষিপ্ত

  • বিরাট দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে কলকাতাবাসী
  • ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো গিয়েছে মূলত পুরসভার পরিদর্শক টিমের তৎপরতায়
  • শুরু হয়েছে বিরাট যানযট

বিরাট দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছে কলকাতাবাসী। ২০১৩ সালের উল্টোডাঙার ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো গিয়েছে মূলত পুরসভার পরিদর্শক টিমের তৎপরতায় এবং উড়ালপুলের থামে বসানো সেন্সারের সাহায্যে। বিপর্যয় এড়াতে পারলেও সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ কলকাতা পুলিশের সামনে। কারণ এই তিনদিন বন্ধ থাকবে এই উড়ালপুলের দুই মুখই। এই সময়ে বাইপাস-ভিআইপি আসা যাওয়া করা বিপুল গাড়ির চাপ সামলাতে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ কা করবে? কী ভাবেই বা যানজট এড়াবেন নিত্যযাত্রীরা?

সূত্রের খবর, যানজট  তিনটি সমাধান সূত্র দিচ্ছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।

গড়িয়া, যাদবপুর, বালিগঞ্জ বা তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে বাইপাস ধরে এয়ারপোর্টগামী গাড়িকে প্রথম রুট হিসেবে কলকাতা ট্রাফিক বেছে নিতে বলছে চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভার। অন্য দিক থেকে আসে গাড‌়িগুলির ক্ষেত্রে হাটকোর মোড় এড়িয়ে যাওয়া কঠিন। তবে হলদিরাম বা বাগুইহাটি এলাকা থেকে নিউটাউন হয়ে চিংড়িঘাটা কানেক্টর হয়ে ইএম বাইপাসে ঢুকতে পারেন তাঁরা।
একটি তৃতীয় বিকল্পেরও সন্ধান দিচ্ছে কলকরাতা ট্রাফিক পুলিশ। এজেসি বোস রোড-এপিসি রোড হয়ে শ্যামবাজার, সেথান থেকে আরজিকর রোড ধরে পাতিপুকুর রেল ব্রিজ সেখান থেকে যশোর রোড ধরে নেওয়া যেতে পারে। 
আরও পড়ুনঃ ফিরল ৬ বছর আগের আতঙ্কের স্মৃতি, ব্রিজের ভাঙন বাঁচাল পরিদর্শকদের তৎপরতা
উল্টোডাঙা ফ্লাইওভারে বিপজ্জনক ফাটল, যানজটে স্তব্ধ ইএম বাইপাস


উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কেএমডিএ-র রাতের পরিদর্শক দলের নেতৃত্বে  ব্রিজ পরিদর্শন করতে আসে একটি দল। তারাই ব্রিজের গায়ে ফাটল দেখতে পান। ফাটলটি ছিল বিমানবন্দর-সল্টলেক উড়ালপুলের সেই পুরনো স্তম্ভটিতেই, যা ২০১৩ সালে বিপর্যয়ের পরে মেরামত করা হয়েছিল। এদিন এই পরিদর্শক কমিটি কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর কমিশনারেটকে সতর্ক করে ফের ফাটল দেখে।  ব্রিজের ওপর দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। গার্ডরেল লাগিয়ে দেয় ব্রিজের মুখে। তখনই পুরমন্ত্রী জানান মেরামতির জন্যে আগামী তিন দিন এই ব্রিজ বন্ধ থাকবে।