সংক্ষিপ্ত
- ১৮ জুলাই বিধাননগর পুরনিগনমে অনাস্থা ভোট
- তার আগেই আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব
- প্রস্তাবে সই নেই দুই কাউন্সিলারের
১৮ জুলাই বিধাননগর পুরনিগনমে অনাস্থা ভোট। গত কয়েকদিনের নাটকীয়তার অবসান হবে ওই দিনই। যদিও তার আগেই অনাস্থা বৈঠকে পরিস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে অনেকটাই। ৪১ টি আসনের (২ টি আসন অকার্যকর) মধ্যে ৩৫ জন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন সব্যসাচীরপ বিরুদ্ধে। পড়েছে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে। খুব পরিস্কার বার্তা, দল আর চায় না তাঁকে। আবার সব্যসাচী দত্তের দল ভারী করার অবস্থাও নেই। তাঁর মেয়র পদটি যেতেই চলেছে। এই রকম একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে মাত্র কি কউকে পাশে পাচ্ছেন সব্যসাচী?
আরও পড়ুনঃ সব্যসাচীতে অনাস্থা ৩৫ জনের, কে হবেন মেয়র, উঠে আসছে এই তিন নাম
'ফিরহাদ হাকিম দাদার মতো', অনাস্থার খবরে গান্ধীগিরি সব্যসাচীর
এদিন বিধাননগরের ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তী বলেন, দলের বিরুদ্ধে যে কাজ করেছে তার পক্ষে থাকার প্রশ্নই ওঠে। একই সুরে অনস্থার পক্ষে সায় দিচ্ছেন ৪১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "একশো ভাগ দলের পক্ষে আমাদের কাউন্সিলাররা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যআয়ের সৈনিক হিসেবে আমি দলের বিরুদ্ধে কাজ করিনি। আমি মনে করি যারা দল বিরোধী কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে যদি দল অনাস্থা আনে। আমি নিশ্চয়ই দলের পক্ষেই থাকব।"
প্রসঙ্গত অনাস্থা বৈঠকের আগে জোর জল্পনা চলছিল। বলা হচ্ছিল অনেকেই শেষ মুহূর্তে ঘুরে যেতে পারে। এদিন বৈঠক শুরু হতেই দেখা গেল দুইজন গরহাজির। তাঁরা কারা? ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিবনাথ ভাণ্ডারি এদিন অনাস্তা ভোটে উপস্থিত ছিলেন না। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, পাড়ার একজন বয়স্ক লোকের মৃত্যুর কারণে তিনি জানতে পারেননি।
অনুপস্থিত ছিলেন ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ সর্দারও। তিনি শরীর খারাপের কথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে। যদিও দলের সিদ্ধান্তে তাঁর সম্পূর্ণ আনুগত্য থাকবে বলেই জানাচ্ছেন তিনি।
সব্যসাচীর রাজনৈতিক পদ সংক্রান্ত যাবতীয় জল্পনার অবসান হবে আগামী ১৮ তারিখ। শোনা যাচ্ছে মেয়র হতে পারেন তাপস চট্টোপাধ্যায়। তবে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ৩৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস জানা নেত্রীকে। তাহলে কি এই পদের দাবিদার তিনিও? উত্তর দেবে সময়।