সংক্ষিপ্ত
- অভিনব কায়দায় পাচারের ছক
- লোকাল ট্রেনে সবজি বস্তা থেকে উদ্ধার সোনা
- শিয়ালদহ স্টেশনে বমাল ধরা পড়ে গেল তিন পাচারকারী
- চোরাপথে বউবাজারে সোনা আনা হচ্ছিল বলে খবর
অভিনব কায়দায় সোনা পাচারের ছক। ধরবে কার সাধ্যি! এমনটাই ভেবেছিল পাচারকারীরা। শেষপর্যন্ত কিন্তু পরিকল্পনা কাজে দিল না। শিয়ালদহ স্টেশনে লোকাল ট্রেনে সবজির বস্তা থেকে সোনা উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে শহরে। ধরা পড়েছে তিনজন পাচারকারীও। সূত্রের খবর, বাংলাদেশ থেকে প্রায় কোটির টাকা দামের ওই সোনা নাকি আনা হচ্ছিল কলকাতা বউবাজারে। এদিকে বিয়ের মরসুম শুরু হতে বেশি দেরি নেই। তাহলে কি গয়নার চাহিদা মেটাতে বউবাজারে ঢুকছে চোরাই সোনা? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বাজারে দাম একটু কমতেই ফের সোনা পাচারকারীদের রমরমা বেড়েছে। ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের থেকে চোরাপথে এ রাজ্যে, এমনকী খাস কলকাতায়ও সোনা পাচার করা হয়। স্রেফ দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী বাস কিংবা গাড়িতেই নয়, আর নানা কৌশলেই কোটি কোটি টাকা সোনা পাচার করা হয়। তবে এবারের পরিকল্পনাটি ছিল বেশ অভিনব।
বনগাঁ, হাসনাবাদের মতো বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে লোকাল ট্রেনে সবজি বোঝাই বস্তা নিয়ে কলকাতায় আসেন বহু মানুষ। জানা গিয়েছে, সেই সবজির বস্তায় ভরে সোনা পাচার পরিকল্পনা করেছিল পাচারকারীরা। বাংলাদেশ থেকে সোনা আনা হচ্ছিল কলকাতা বউবাজারে। গোপন সূত্রে খবর পৌঁছয় ডাইরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের আধিকারিকদের কাছে। বনগাঁ লোকাল থেকে যখন তিন ব্যক্তি শিয়ালদহ স্টেশনে নামে, তখন তাদের ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। আটক করা একটি সবজি বস্তাও। সবজির বস্তা থেকে উদ্ধার হয় ৯৬ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃতের কারোও-র কাছে বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়।
কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কেন কলকাতায় সোনা পাচার করা হচ্ছিল? কীভাবে চলে এই বেআইনি কারবার? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।