সংক্ষিপ্ত

  • করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘ লকডাউনে পড়াশোনা বলতে অনলাইন ক্লাস 
  • নতুন শিক্ষাবর্ষের ছাপানো বইয়ের গন্ধও নেওয়া হয়নি  শিক্ষার্থীদের 
  • তার আগেই আমফানের তাণ্ডবে শেষ কলেজস্ট্রিটের কোটি টাকার বই 
  • আর্থিক সাহায্য চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন গিল্ডের সম্পাদক 
     

করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘ লকডাউনে পড়াশোনা বলতে অনলাইন ক্লাস। নতুন শিক্ষাবর্ষের ছাপানো বইয়ের গন্ধ নেওয়া হয়নি। পড়া দূরের কথা আর তার আগেই ঘূর্ণীঝড় আমফানের তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে গেল কলেজস্ট্রিটের কোটি কোটি টাকা বই।

 

 

 আরও পড়ুন, বিদ্য়ুৎহীন অবস্থায় ৪ দিনে পা রাখল বাংলা, ধৈর্য্য ধরার কথা শোনালেন মমতা

কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়ায় বহু দোকানে, প্রেসে এবং গুদামে অন্য বইয়ের সঙ্গে মজুত করা ছিল পাঠ্যপুস্তকও। এদিকে আমফানের জেরে নষ্ট হয়ে গেল এমন অংসখ্য বই। কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে বইপাড়া। এদিকে লকডাউনের জন্য অনেক বিক্রেতাই বাড়ি চলে গিয়েছেন। তাই ঝড় শেষ হলেও কলেজ স্ট্রিট আসতেও পারেননি তাঁরা। দেরী হওয়ার কারণে ভেজা বই উদ্ধার করার যেটুকু সম্ভাবনাও নষ্ট হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ের পরে যাঁরা দোকানে পৌঁছতে পেরেছেন, তাঁরা বই শুকোনোর চেষ্টা করছেন। এদিকে ভেজা বই শুকোলেও যে বিক্রি হবে না বলে জানালেন এক বই বিক্রেতা। পাশপাশি ভেজা বই দোকানের শাটারের সঙ্গে লেগে এমন ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে যে অনেকে শাটারও খুলতে পারেননি,যার জেরে  ভাঙতে হচ্ছে শাটারও। কলেজ স্ট্রিটের বই ব্যবসায়ী ও প্রকাশকেরা জানিয়েছেন, এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তাঁরা আগে দেখেননি। সব মিলিয়ে যত টাকার বই নষ্ট হয়েছে তার পুরো ধারণাও এখনও পাওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন, ২৬ মে পর্যন্ত শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন বন্ধ থাক, রেলের কাছে আর্জি জানাল রাজ্য


পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে দোকানগুলির শাটারের ভিতর দিয়ে ,জানলার ফাঁক দিয়েও জল ঢুকে যায়।' তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছিল। আমফান সেই ক্ষতি বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণ। আশঙ্কা, বহু বই ব্যবসায়ী আর হয়তো ঘুরে দাঁড়াতেই পারবেন না। তাই কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ার ব্যবসায়ীরা আর্থিক সাহায্য চেয়ে  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও চিঠি লিখেছেন।

আরও পড়ুন, ঘূর্ণীঝড় আমফানের থাবা শহরের ৩০০টি রেশন ঘরে, ক্ষতিগ্রস্থ ৯০ কোটির খাদ্য়সামগ্রী