সংক্ষিপ্ত

  • দম্পতির মৃতদেহকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল খেয়াদহে
  • বুধবার সকালেই উদ্ধার হয়,ওই দম্পতির মৃতদেহ
  • খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ 
  • অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হন ওই ব্য়াক্তি 
     

দম্পতির মৃতদেহকে ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ এলাকায়।   বুধবার সকালেই তাদের নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হয়, স্বামী-স্ত্রীর মৃতদেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে নিজেও আত্মঘাতী হন ওই ব্য়াক্তি। 

আরও পড়ুন, ভেঙেছে সম্পর্ক, তরুণীর আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিল যুবক

দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের বাসিন্দা হলেন, শঙ্কর বিশ্বাস (৫০) ও গীতারানি বিশ্বাস  (৪২) । এক মেয়ে নিয়ে তাদের তিন জনের পরিবার।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বেড়ার ঘর ও টালির ছাউনির বাড়িতে থাকতেন এই দম্পতি। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির মধ্য়ে বহুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। শঙ্কর বিশ্বাস ও গীতারানি বিশ্বাস একে অপরকে বিশ্বাস করতেন না। প্রায় প্রতিদিনই তাদের মধ্য়ে ঝগড়া চলত। মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন আত্মীয় এসেছিলেন তাদের বাড়িতে। তারা রাত বারোটা নাগাদ চলে যাওয়ার পরও দুজনের মধ্যে অশান্তি চলছিল । জানা গিয়েছে যে, বুধবার সকাল থেকেই ওই দম্পতির ঘর ছিল বন্ধ। সন্দেহ হওয়ায় বহুবার ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া শব্দ পাননি প্রতিবেশীরা। ঘরের দরজা ভিতর দিয়েই বন্ধ ছিল। তারপর তাদের ঘরের জানালায় উঁকি মারতেই দেখতে পাওয়া যায় শঙ্কর বিশ্বাসের ঝুলন্ত দেহ। শঙ্করবাবু ঘরের বারান্দার চালের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন। ঘরের মেঝের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন গীতা দেবী। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়েই পাশের ঘর থেকে ছুটে আসে ওই দম্পতির মেয়ে। তারপরেই মা-বাবার নিথর দেহ দেখতে পায় সে।

আরও পড়ুন, পড়াশোনা নিয়ে প্রায়ই বকাবকি, মানতে না পেরে মায়ের শাড়ি জড়িয়ে আত্মঘাতী ছাত্র

 স্থানীয়সূত্রে খবর পেয়েই, ঘটনাস্থলে আসে নরেদ্রপুর থানার আইসি সুখময় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।