সংক্ষিপ্ত

  • নন্দীগ্রামে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা
  • ১৯৮২ ভোটে হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • জয় পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী
  • এই ফলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী

নন্দীগ্রামে বদলে গিয়েছে ছবি। শেষ রাউন্ডের ফল ঘোষণার পরেই বদলে গিয়েছে পাশার দান। হেরে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই হার নিয়ে বেশ সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ফল ঘোষণার পরে কী করে সেই ফল বদলে যায়। এর জবাব দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। 

এদিন নন্দীগ্রামে চূড়ান্ত ফল ঘোষণার পর দেখা যায় ১৯৮২ ভোটে হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জয় পেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই ফলে সন্দেহ প্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেছেন নন্দীগ্রামে কী হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। প্রয়োজনে নন্দীগ্রাম নিয়ে আদালতে যাবে তৃণমূল। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি নন্দীগ্রাম নিয়ে কারচুপি হয়েছে। এটা নিয়ে বিস্তারিত খোঁজ খবর নিতে হবে।

এর আগে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৭ দফা গণনার শেষে ১২০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন। তবে, সেই খবর নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেনি। সারা ভারতের নজর ছিল এই কেন্দ্রের দিকে। প্রথম থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই জারি ছিল এই কেন্দ্রে। প্রথম কয়েক দফার গণনার পর অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। ১০ রাউন্ড গণনার পর ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে ছিলেন। পরের ৪ রাউন্ডে কিন্তু সেই ব্যবধান মিটিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন মমতা। ১৪ রাউন্ড গণনার শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় প্রায় ৮,৭৮৭ ভোটে এগিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর জানা গিয়েছিল পরের দুই রাউন্ডের গণনায় আবারও ব্যবধান অনেকটা কমিয়ে এনেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ১৬ রাউন্ড গণনার শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর থেকে মাত্র ৮২০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। এরপরই জানা গিয়েছিল তিনি জিতে গিয়েছেন।

পরে অবশ্য জানা যায়, মমতা পরাজিত হয়েছেন। মানুষের এই রায় তিনি মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে এই আসনে পুনর্গণনার দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, আশপাশের সব আসনে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, সেখানে ভোটযন্ত্রে কোনও কারিকুরি বা অন্য কিছু না করে থাকলে এই ফল হয় না। মমতা আরও দাবি করেছেন নন্দীগ্রামে তাঁকে দু-তিন বার জয়ী ঘোষণা করার পর ফের তাঁকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। কাজেই একটা কিছু তো হয়েইছে।

এদিকে, রবিবার ফলপ্রকাশ শেষ। তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সেই রায় দিয়ে দিয়েছে বাংলার মানুষ।অবেশেষে এসেছে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। এদিন ভাগ্য নির্ধারণ হল বাংলার সব হেভিওয়েট প্রার্থীর। তবে গেরুয়া ঝড়ের যে আশা করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা, সেই আশায় কার্যত জল ঢেলেছে তৃণমূল।