সংক্ষিপ্ত

  • নারদকাণ্ডে ইকবালের বাড়িতে সিবিআই
  • অসুস্থ থাকায় মিলল না কণ্ঠস্বরের নমুনা
  • আগে নিজাম প্যালেসে যাননি ইকবাল
  • তিন সপ্তাহ সময় চান সিবিআইয়ের কাছে

অসুস্থতার কারণে তিনি নিজে আসতে পারবেন না। তাই নারদকাণ্ডে তদন্তের জন্য খোদ খানাকুলের তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে গেলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে গিয়েও অধরা ইকবালের কণ্ঠস্বর। 

বৃস্পতিবার নারদকাণ্ডে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদের বাড়িতে যায় সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। অসুস্থ থাকার জন্য ইকবাল আহমেদ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে পারবেন না বলে জানান। এরপরেই তদন্তকারীরা ইকবালের বাড়িতে গিয়ে ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয়।  

বৃহস্পতিবার বেলা ১ টা নাগাদ সিবিআইয়ের ৬ সদস্যের টিম পৌছয় ১৯-বি রিপন স্ট্রিটে ইকবাল আহমেদের বাড়ি। সেখানেই নারদা মামলার তদন্তকারী অফিসার রঞ্জিত কুমারের উপস্থিতে ইকবালের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে যায় সিবিআইয়ের টিম। যদিও সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানান,অসুস্থ থাকার জন্য় কথা বলতে পারছেন না ইকবাল আহমেদ। তাই তাঁর স্বরের নমুনা সংগ্রহ করা যায়নি।

কদিন আগেই নারদ স্টিং কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তাঁকে ভয়েস টেস্টের জন্য তলব করে। যার উত্তরে ইকবাল জানান, তিনি অসুস্থ তাই তিন সপ্তাহ সময় চান। এ বিষয়ে নিম্ন আদালতের কাছে অনুমতি চায় সিবিআই। সিবিআইকে এ বিষয়ে অনুমতি দেয় নিম্ন আদালত। যার পরই নিম্ন আদালতের অনুমতিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে নতুন মামলা করেন ইকবাল আহমেদ। তবে শুধু ইকবাল আহমেদ নন, নারদকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই ডেকে পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়,মদন মিত্র, কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। তৃণমূলের এই সাংসদদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অনুমতি চেয়েছে সিবিআই। 

সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। একই সঙ্গে এ দিন নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্রও। তিনিও নারদাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত। নারদার স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল সৌগত রায়কেও। সেই সূত্রেই তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বর্তমানে একের পর এক অভিযুক্ত নেতাদের ডেকে তাঁদের গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করছে সিবিআই। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের পাশাপাশি কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইতিমধ্যে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছে সিবিআই।