সংক্ষিপ্ত

  • সংবিধান দিবসের পর বদলে গেল পুরো চিত্র
  • মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্য়পাল সংঘাতের পর এবার রাজ্যপালের পদ রাখা নিয়েই প্রশ্ন
  •  বিধানসভায় এই প্রশ্ন করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়
  • তৃণমূলের আগেও এই একই প্রশ্ন তুলেছিল আরও একটি দল 
     

সংবিধান দিবসের পর বদলে গেল পুরো চিত্র। মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্য়পাল সংঘাতের পর এবার রাজ্যপালের পদ রাখা নিয়েই প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। বিধানসভায় এই প্রশ্ন করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 

মঙ্গলবার সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল সেখানে যখন পৌঁছন, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোরাধ্যায়। কিন্তু গোটা অনুষ্ঠানে একবারের জন্যও রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলতে দেখা যায়নি। বরং রাজ্যপাল যখন সব বিধায়কদের সঙ্গে পরিচয় করছিলেন তখনও মুখ ঘুরিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই ভাবে রাজ্যপালকেও মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ফিরে তাকাতে দেখা যায়নি। 

এদিন টুইটারে সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপাল  লিখেছেন,মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে তিনি হতভম্ভ। আমি  কখনওই কারও প্রতি সৌজন্য দেখানো নিয়ে আপোস করব না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমি অসম্ভব শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে তিনি প্রত্যাশিত আচরণ করেননি। যা দেখে আমি হতভম্ব হয়েছি, চমকে গিয়েছি। অমিত মিত্র,পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আব্দুল মান্নান- সহ সব বিধায়করাই আমার প্রতি সৌজন্য দেখিয়েছেন।

এদিন রাজ্যপালের এই টুইট প্রকাশ্য়ে আসতেই  জবাব দিয়েছে তৃণমূল। বিধানসভার অধিবেশনে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,জনপ্রিয় সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল। একজন নির্বাচিত সরকারের প্রতিনিধিকে অবজ্ঞা করা কি অসাংবিধানিক কাজ নয়। সরকারের ওপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা চলছে। এটা কতটা সাংবিধানিক তার আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এখনও কি রাজ্যপালের পদ রাখাটা কি জরুরি। গত তিন বছরে রাজভবনের খরচ বেড়েছে তিনগুণ। সেদিন হয়তো প্রয়োজন ছিল , আজ কি প্রয়োজন রয়েছে রাজ্যপাল পদের। 

রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসের দিকে তাকালে বোঝা যাবে, অতীতেও এই একই প্রশ্ন তুলেছিল বামেরা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজ্যপাল পদ রাখা নিয়েই আপত্তি তুলেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এ রাজ্যে রাজ্যপাল পদের যেমন খুশি অপব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যেও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ মমতার। এদিকে মমতার সমর্থনে নেমেছেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ তুলে টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'স্বাধীন ভারতেও যদি রাজ্যপালরা ব্রিটিশ আমলের বড়লাটদের মতো ব্যবহার করেন, তাহলে মানতে হবে দেশে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।