সংক্ষিপ্ত

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপের অভিমুখ হতে পারে ওড়িশা। আর সেই কারণেই রবিবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করল নবান্ন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

একটা দুর্যোগ কাটার আগেই নতুন করে ফের আরও একটি দুর্যোগের ভ্রূকুটি। শুক্রবার থেকে ফের ঘনীভূত হচ্ছে নিম্নচাপ (Depression)। এর জেরে সপ্তাহের শেষে ফের কলকাতা (Kolkata) ভিজতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। 

বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপের অভিমুখ হতে পারে ওড়িশা। আর সেই কারণেই রবিবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টির (Heavy Rain) সতর্কতা জারি করল নবান্ন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলার দিকে এগোবে জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। বাংলার দিকে এই ঘূর্ণাবর্ত আসবে ২৬ সেপ্টেম্বর। আর পরবর্তী ঘূর্ণাবর্ত আসবে ২৮ সেপ্টেম্বর। তার জেরেই সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি হবে রাজ্যে। তবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদে বৃষ্টির পরিমাণ কম হবে। হালকা থেকে মাঝারির সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে। কিন্তু, উত্তর বঙ্গোপসাগরে হওয়া ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমী অক্ষরেখা প্রবলভাবে সক্রিয়। তার জেরেই দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গুর থাবা কলকাতায়, মৃত্যু যুবকের

এদিকে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা। সল্টলেক, উল্টোডাঙা, ঠনঠনিয়া, কলেজস্টিট, চিনার পার্ক, কাঁকুড়গাছি, কৈখালি, মুকুন্দপুর, টালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, তারাতলা, ভবানীপুর, মিন্টো পার্ক, ক্যামাক স্ট্রিট জল জমে যায়। তার ফলে সপ্তাহের প্রথম দিন কাজে বেরিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়তে হয়েছিল নিত্যযাত্রীদের। জমা জল পেরিয়েই কাজে যোগ দিয়েছিলেন সবাই। এরপর পুরসভার তরফে একাধিক এলাকায় পাম্প বসিয়ে সেই জল বের করা হয়। কিন্তু, গঙ্গার জলস্তর বেরে যাওয়ার ফলে সব জল বের করা সম্ভব হয়নি। ফলে এখনও জলমগ্ন রয়েছে একাধিক এলাকা।  

আরও পড়ুন- ক্রেন দিয়ে বাস টেনে তুলতেই মিলল একাধিক দেহ, রায়গঞ্জ বাস দুর্ঘটনায় রাতভর উদ্ধার অভিযান

আরও পড়ুন- 'লুঙ্গি পরে জলের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, দেখে কষ্ট হয়', সৌগতকে কটাক্ষ সুকান্তর

এর মধ্যে নিম্নচাপের প্রভাবে আবার শহরে ভারী বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি ফের ভয়াবহ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছে কলকাতা পুরসভা।

YouTube video player