সংক্ষিপ্ত

  • মুখ্য়মন্ত্রীর চিঠি পেয়েই পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য়পাল
  •  আইনগত ভাবে মুখ্য়মন্ত্রীর চিঠির  কোনও সারবত্তা নেই
  •  রাজ্য়ে এখন ছাদ ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে
  • মুখ্য়মন্ত্রীকে পাল্টা স্মরণ করালেন জগদীপ  ধনখড় 

মুখ্য়মন্ত্রীর চিঠি পেয়েই পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য়পাল। টুইটে জগদীপ  ধনখড় লিখেছেন,বাস্তবের মাটিতে ও আইনগত ভাবে মুখ্য়মন্ত্রীর চিঠির  কোনও সারবত্তা নেই। রাজ্য়ে এখন ছাদ ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এরকম একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আশা করি, উনি একসঙ্গে কাজ করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে ধনখড় লিখেছেন, সংকটের এই মুহূর্তে আমি তাঁকে অনুরোধ করছি গুরুতর পরিস্থিতির দিকে মনোনিবেশ করুন। জনসাধারণের দুর্দশাগুলি দূর করার লক্ষ্যে একযোগে কাজ করতে হবে। 

— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) May 2, 2020 

এদিনই রাজ্য়পালের আগের চিঠির উত্তর দিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী। কড়া চিঠিতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেছেন,ধনখড়ের চিঠি পড়ে রাগের থেকে বেশি দুঃখ পেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বলেছেন, যেভাষায় তাঁকে ও তার মন্ত্রিসভা ও প্রশাসনকে আক্রমণ করা হয়েছে, তা অসাংবিধানিক। এমনকী তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারেন, ভূ-ভারতে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও রাজ্য়পাল এ ধরনের বাক্যবন্ধে আক্রমণ করেননি। রাজ্যপালের কাছে এই ব্যবহার একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী আশা করেন না।

রাজ্য়পালের জোড়া চিঠির কড়া জবাব মুখ্য়মন্ত্রীর,সুপ্রিম কোর্টের মামলার উল্লেখ লেটারে.

রাজ্য়ের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে,কদিন আগেই মুখ্য়মন্ত্রীকে লাগাতার প্রশ্ন করে চিঠি পাঠিছেন রাজ্য়পাল। গত ২৩ ও ২৪ এপ্রিল মুখ্য়মন্ত্রীর  কাছে পৌঁছেছে এই চিঠি। এদিন যার জবাব দিয়েছেন  মুখ্য়মন্ত্রী। জবাবী চিঠিতে মমতা বলেছেন,রাজ্য়ে কোভিড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বৈঠক ছাড়াও প্রশানিক কাজে জড়িয়ে থাকায় চিঠির উত্তর দিতে দেরি হয়েছে তাঁর।  

এনআরএস-এ ৮ জনের শরীরে করোনা, আক্রান্তদের ৬ জন স্ত্রী রোগ বিভাগে ভর্তি

চিঠিতে রাজ্য়পালকে তাঁর সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা বোঝাতে একাদিক সুপ্রিম কোর্টের মামলার উদাহরণ দেন মুখ্য়মন্ত্রী। এমনকী বিধানসভায় কোনও বিলে তাঁর আপত্তি থাকলেও শেষ পর্যন্ত কী হতে পারে তাও তুলে ধরেন চিঠিতে । প্রতি পদে মমতা বুজিয়ে দেন, তিনি বাংলার রাজ্য়পাল হিসাবে যা করছেন তা কোনওভাবেই সাংবিধানিক আওতার মধ্য়ে পড়ে না। মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, রাজ্য় সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। সে বিষয়ে প্রকাশ্যে মতামত ব্যক্ত না করে আপনি আমাকে বলতে পারতেন। কিন্তু আপনারও মনে রাখা উচিত, রাজ্য়ের সিদ্ধান্ত যত তেতোই হোক না কেন তা সাংবিধানিকভাবে আপনি মানতে বাধ্য। না হলে রাজ্য়পালরে চেযার ছেড়ে আপনাকে আমার চেয়ারে বসতে হবে।