সংক্ষিপ্ত
- রাজ্য়ে বিরোধীদের সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ
- আগেই আইপিএস-দের হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য়পাল
- এবার পুলিশ আধিকারিকদের সম্প্ত্তির হিসেব চাইলেন
- মুখ্যমন্ত্রীকে টুইটে কী বললেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়
রাজ্য়ে বিরোধীদের সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন আইপিএস আধিকারিকরা। কদিন আগেই টুইটে সেই কথা উল্লেখ করে 'দেখে নেওয়ার' হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্য়পাল। এবার সরাসরি রাজ্য়ের সর্বোচ্চ পুলিশ আধিকারিকদের সম্প্ত্তির হিসেব নেওয়ার কথা বললেন জগদীপ ধনখড়। মুখ্য়মন্ত্রীকে টুইটে সেই কথা বলেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যুইট করে ধনকড় বলেন, এদের সম্পত্তির হিসেব নেওয়ার সময় এসেছে। হিসেব নিলেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। রাজ্য়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বলছে, সোমবারই রাজ্য়ে আইসিএমআর-এর অত্যাধুনিক ল্য়াবের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখানে করোনা যুদ্ধে কেন্দ্রের প্রশংসা করলেও নাম না করে রাজ্য়পালের নামে নালিশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্য়ের সাংবিধানিক পদে বসে কেউ কেউ এরকম সময়ে রাজ্য়ের সমস্যা সৃষ্টি করছে।
যার উত্তরে এদিন রাজ্যপাল বলেন, গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর অসহযোগিতার অভিযোগে আমি অবাক। এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যে পদে আপনি আছেন, তাতে এমন কিছু অনভিপ্রেত। আপনি আগে এমন কিছু আমাকে জানাননি। এমন মতামতের কোনও ভিত্তি নেই। এদিন টুইটারে যার উত্তর দেন রাজ্য়পাল। তিনি বলেন, আমি যা বলেছি, তা মানুষের মঙ্গলের জন্য। রাজনীতিতে আমার আগ্রহ নেই। আমার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা নিয়ে আমি আগ্রহী। আমার পরামর্শে আপনার নীরবতার সঙ্গে অমিল সংবিধানের।
শনিবার পুলিশ প্রশাসনের সম্পর্কে রাজ্য়পাল লিখেছেন, বিরোধী নেতা বা সাংসদদের বিরুদ্ধে 007-এর ঠান্ডা মাথার খুনির মতো আচরণ দেখা যাচ্ছে। রাজ্যপাল হিসাবে এই জঘন্য কাজ বন্ধ করার জন্য যা যা করার করছি। সংশ্লিষ্টরা টের পাবেন। এই বলেই থেমে থাকেননি ধনখড়। তিনি আরও বলেন, এমএপি ত্রয়ীর প্রশাসনে পুলিশ দল পরিচালিত সংস্থা। আচরণে আইপিএস অফিসাররা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হবেন সেটাই দস্তুর। তাঁদের কেউ কেউ মর্জিমাফিক আইনের ব্যবহার করছেন।
সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য়পাল। বৈঠকের পর নিজেই টুইট করে সেই কথা জানান। তিনি বলেন,রাজ্য়ের বিপর্যস্ত আইনশৃঙ্খলা, কোভিড পরিস্থিতি এবং আমফান দুর্নীতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তিনি অমিত শাহকে দিয়েছেন।