সংক্ষিপ্ত
আজ শুভেন্দুকে জয়প্রকাশের দলবদল প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। তারপর বলেন, "কচু বন থেকে ঘাস বনে গিয়েছেন, আমার কিছু বলার নেই। আমি কিছুই বলব না। এই তৃণমূলের লোকেরাই তো তাঁকে কচুবনে ফেলে দিয়েছিল।"
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তৃণমূলে যোগ (TMC Join) দিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার (Joyprakash Majumdar)। আজ ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন তিনি। আর তৃণমূলে যোগ দিয়েই রাজ্যের সহ সভাপতির পদ পেলেন। তাঁর এই যোগদান নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)।
আজ শুভেন্দুকে জয়প্রকাশের দলবদল প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। তারপর বলেন, "কচু বন থেকে ঘাস বনে গিয়েছেন, আমার কিছু বলার নেই। আমি কিছুই বলব না। এই তৃণমূলের লোকেরাই তো তাঁকে কচুবনে ফেলে দিয়েছিল।"
তবে শুধুমাত্র শুভেন্দুই নন, কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন,"ওনাকে দল সাময়িকভাবে সাসপেন্ড (Suspend) করেছিল। এই দলে তো ছিলেন না। তাই এরপর কোন দলে যাবেন সেটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। মানুষকে কেউ ধরে রাখতে পারে না। এর আগে তো কংগ্রেস করেছিলেন। তারপর বিজেপিতে এসেছিলেন। আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে গেলেন। এটা নতুন কোনও বড় ব্যাপার নয়। এরপর আরও কোনও দল পরিবর্তন করবেন।" এরপর কটাক্ষ করে তিনি বলেন, "যুদ্ধ জিততে গেলে শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিকের প্রয়োজন। যে সেনা নিয়ম মেনে চলে না সে যুদ্ধে কাজে আসে না। দল পরিবর্তন, বৈঠক সেটা তাঁদের বিষয় সেই বিষয়ে তাঁরা বলবেন। দলের ভিতরে সমস্যা থাকলে তা নিয়ে কথা বলার অধিকার সকলের রয়েছে। বাকি দলের বাইরে যা হবে সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। দল এর জন্য উত্তর দেবে না।"
আরও পড়ুন- পদ্ম-মোহ ত্যাগ করে এবার জোড়া ফুলে জয়প্রকাশ, এসেই পেলেন সহ-সভাপতির পদ
আঁচ পাওয়া গিয়েছিল অনেক দিন আগে থেকেই। রাজ্য বিজেপি (State BJP) নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বিবাদ কিছুতেই মিটছিল না। এমনকী, নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেও মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর এবার সেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। মঙ্গলবার জয়প্রকাশ মজুমদার একেবারে তৃণমূলের নজরুল মঞ্চের মিটিংয়ে উপস্থিত হন। সেখানেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিজেপি থেকে জয়প্রকাশকে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক সুর চড়াতে শুরু করেন। তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল জয়প্রকাশের তৃণমূলে যোগ দেওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর ঠিক সেই সময় বুঝেই দলবদল করলেন তিনি। অবশ্য শুধু দলে যোগ দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, তার সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ে গিয়েছেন রাজ্যের সহ সভাপতির পদ।