সংক্ষিপ্ত

বিজয় দত্ত নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। মহিলার ক্যাফেতে বিজয় দত্ত তার দলবল নিয়ে চড়াও হয়েছিল।

তোলাবাজির (extortion) অভিযোগ  ওঠায় বন্ধ করে দেওয়া হল যোধপুরপার্ক উৎসব (Jodhpur Park Fest)। ১৯-২৩ ফেব্রুয়ারি তালতলা মাঠে যোধপুর পার্ক উৎসব হওয়ার কথা ছিল। সূত্রের খবর তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) শীর্ষ নেতৃত্বের চাপেই বন্ধ করে দেওয়া হল যোধপুর পার্ক উৎসব। যোধপুর পার্কের একটি ক্যাফেতে তোলাবাজি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে লেকথানায় দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। এই ঘটনায় ক্যাফের মহিলা মালিককেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনার মূল অভিযুক্ত বিজয় দত্তকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। 

সূত্রের খবর বিজয় দত্ত নিজেকে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। মহিলার ক্যাফেতে বিজয় দত্ত তার দলবল নিয়ে চড়াও হয়েছিল। মহিলার হাত থেকে মোবাইল ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি মহিলাকে থানায় যেতেও বাধা দেওয়া হয়েছিল। মহিলা জানিয়েছেন বাইক বাহিনী তাঁর পিছু নেয়। পরে লেক থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। 

তবে ক্যাফেতে তোলাবাজির ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব। স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমী দাসও এই ঘটনায় মন্তব্য করেছেন। কারণ সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগকারিনী মহিলা একটি ভিডিও নিয়ে তাঁর তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই পোস্টে জবাব দিয়েছেন মৌসুমী দাস। তিনি নিজেকে ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দাবি করে জানিয়েছেন তিনি  ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। টাকা তোলাকে তিনি সমর্থন করেন না বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন ভিডিওতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে তাঁরা কেউই তাঁর অনুগামী নন। তিনি আরও বলেছেন তিনি পার্টিতে নতুন তাই পার্টিতে তাঁর কোনও অনুগামী তৈরি হয়নি। তবে বিজয় দত্ত যে দলের সিনিয়র লিডার তাও লিখেছেন তিনি। 

আগেই ক্যাফের মালিক মহিলা জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘ দিন ধরেই কলকাতার বাসিন্দা। কিন্তু এমন তিক্ত ঘটনার মুখোমুখী কোনও দিনই হননি। প্রথমে তাঁর ক্যাফেতে চড়াও হয়ে টাকার দাবি করা হয়। তাঁর ব্যবসার কাজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু তিনি তাতে বাধা দিয়ে তোলাবাজের দল তাঁর ওপর চড়াও হয়। গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করতে গিয়েছিলেন মহিলা। সেই সময় তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেছেন। হাত মোচড়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে।  এপর মহিলা কমিশনের পরামর্শ মেনে তিনি থানায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও বাইক বাহিনী তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। 

মহিলা জানিয়েছেন বাইক বাইনি তাঁকে ধাওয়া করেন। তিনি তাঁর পরিচিতের মোটরসাইকেলে ছিলেন। সেই সময় বাইকবাহিনী তাঁদের তাড়া করেন। তাঁর পরিচিত ব্যক্তি লেক থানা পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে যেতে পারেননি। যাদবপুর থানার সামনেই তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন। পরে লেকথানার পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করেন। রাতে বাড়িও পৌঁছে দেয়। 

চন্নির 'ইউপি বিহার ভাইয়া' মন্তব্যের সমালোচনা মোদীর, নিশানায় গান্ধী পরিবার
'আমি কংগ্রেসের ভাড়াটে নই', কংগ্রেস নেতৃত্বকে সতর্ক করলেন মণীশ তিওয়ারি
জন্মদিনে কেসিআর-কে শুভেচ্ছা মোদীর, ঘুচবে কি রাজনৈতিক দূরত্ব