সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর একাধিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। পোশাক ইস্যুতে মোদীকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) বৃহস্পতিবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোন করেছিলেন তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে (Telangana CM KCR)। তার জবাবে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী। তবে দুজনের মধ্যে আর কোনও কথা হয়নি বলেও প্রধানমন্ত্রী কার্যলয় থেকে জানান হয়েছে। হায়দরাবাদে রামানুজাচার্যের মুর্তি উন্মোচন করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময়ই তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেছিলেন তাঁর সঙ্গে। তারপর এই প্রথম মোদী ও কেসিআর কথা হয়েছে।
সম্প্রতি তেলাঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর একাধিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। পোশাক ইস্যুতে মোদীকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। মোদী মিথ্যা বলেন, আর বিজেপি মিথ্যা ও ভুল প্রপাগন্ডা ছড়ায় এমন অভিযোগ করতেও পিছপা হননি কেসিআর। চড়া সুরে আক্রমণ করতে কেসিআর সম্প্রতি বলেছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে বঙ্গপোসাগরে ফেলে দেওয়া উচিৎ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেসিআর মোদীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন মোদী নির্বাচনের জন্য পোশাক করেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন বাংলার ভোটের সময় তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত দাঁড়ি রেখেছিলেন। পঞ্জাবে নির্বাচনের সময় তিনি পাগড়ি পরছেন। উত্তরাখণ্ড আর মণিপুরে গিয়ে তিনি স্থানীয় টুপি পরেন। তাঁর এজাতীয় মন্তব্যের কোনও উত্তর দেননি মোদী। কিন্তু কেসিআর-এর সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি।
সম্প্রতি কেসিআর এমকে স্ট্যালিন আর উদ্ধব ঠাকরে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনের জন্য সুর চড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই এই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর এই ফোন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। অনেকেই মনে করছেন জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী কেসিআরকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন। তবে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেসিআর কোনও মন্তব্য করেননি।
গত রবিবার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কেসিআর বলেন, রাহুল গান্ধী নন, তিনিও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সপক্ষে প্রমাণ চান। তিনিও জানতে চান সম্পূর্ণ তথ্য আর সত্য। তিনি আরও বলেন এটা শুধুমাত্র রাহুল গান্ধীর বিষয় নয়। এটা গোটা দেশের বিষয়। সেই কারণে এখন তিনি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন এটা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব বা জবাবদেহীতার মধ্যেই পড়ে যে সমস্ত বিষয় সকলকে জানান। তিনি বলেন, ভারতে গণতন্ত্রের শাসন চলে। এই দেশে কোনও রাজার শাসন নেই। তাই কেন্দ্রীয় সরকার জবাব দিতে বাধ্য। তিনি আরও বলেন বিজেপি মিথ্যা ও অসত্য সংবাদ ছড়িয়ে জনমত তৈরি করতে চায়। রাহুল গান্ধী এই দেশের মানুষ, ওয়াইনাডের সাংসদ। সেই কারণে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন করতেই পারেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর থেকে শিখুন, কানাডার প্রধানকে বার্তা আন্দোলোন নিয়ে
চন্নির 'ইউপি বিহার ভাইয়া' মন্তব্যের সমালোচনা মোদীর, নিশানায় গান্ধী পরিবার
যোধপুর পার্কের ক্যাফেতে তোলাবাজি, মহিলার হাত মোচড়ে ছিনিয়ে নেওয়া হল মোবাইল