সংক্ষিপ্ত

  • ভার্চুয়াল কর্মসমিতির বৈঠকে বিরোধীদের ঝাঁঝালো আক্রমণ
  • মমতাকে সরাসরি আক্রমণ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির
  • তৃণমূল নেত্রীকে হিন্দুবিরোধী আখ্য়াা দিয়েছেন জগৎ প্রসাদ নাড্ডা
  • পাল্টা বিজেপি সভাপতিকে বাক্যবান শানাল তৃণমূলও

ভার্চুয়াল কর্মসমিতির বৈঠকে বিরোধীদের নিয়েই ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রসাদ নাড্ডা। ২১শের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরাসরি আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। মুসলিম তোষণের কথা না বলে এবার মমতাকে হিন্দু বিরোধী বলে মন্তব্য় করলেন নাড্ডা। পাল্টা বিজেপি সভাপতিকে বাক্যবান শানাতে দেরি করল না তৃণমূলও।

লোকাল ট্রেনে বাড়তে পারে মান্থলির মেয়াদ,শীঘ্রই চাকা ঘুরবে রেলের

বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির নতুন কর্মসমিতির বৈঠক বসেছিল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মাহেশ্বরী সদনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, পর্যবেক্ষক ও সহকারী পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, রাষ্ট্রীয় কার্যকারিণীর সদস্য মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। বিজেপি সভাপতি নড্ডাও দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বৈঠকে শামিল হন।

এদিন মমতাকে আক্রমণ করতে গিয়ে রাম মন্দিরের ভূমি পুজোর দিন রাজ্য়ে লকডাউনের কথা উল্লেখ করেন নাড্ডা। তিনি  দাবি করেন,৫ অগস্ট লকডাউন বলবৎ থাকলেও  ৩১ জুলাই বকরি ইদ ছিল বলে পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়। অমিত শাহের উত্তরসূরী দাবি করেন, এই  হিন্দুবিরোধী মানসিকতাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি।

ঘরেই যখন 'বিভীষণ',মমতার ভাগ্যে কটা আসন

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য়ে বিজেপির সরকার আনতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপানোর কথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয়  সভাপতি। তিনি বলেন, এক এক করে ১৮ শতাংশ থেকে এখন বিজেপি বাংলায় ৪০ শতাংশ ভোট শেয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামী নির্বাচনে এই শতাংশের হিসেবটা ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদী  নাড্ডা। এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি তিনি। দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, আমফানের পরে তৃণমূল রেশনের চাল চুরি করতে ব্যস্ত থেকেছে। আর বিজেপি কর্মীরা ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন।

পিসির রাজত্বে ভাইপোর কীসের ভয়,কঙ্গনা প্রসঙ্গে মহুয়াকে পাল্টা বাবুলের.

নাড্ডার বক্তব্য়ের পর পাল্টা দিতে ছাড়েনি তৃণমূলও। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এঁদের এ থেকে জেড পর্যন্ত সব নেতা একই ধরনের কথা বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে রাজনীতিটা করেন, তা সবাইকে নিয়ে এবং বাংলার যে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, গণতান্ত্রিক অধিকার, তাকে সুরক্ষিত করার জন্য। তিনি  রাজ্যবাসীর জন্য় সংগ্রাম করছেন। আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। মানুষকে উপেক্ষা করার রাজনীতি আমরা করি না।

"