সংক্ষিপ্ত
বঙ্গ বিজেপিতে অসন্তোষের মাঝেই দুদিনের রাজ্য সফরে জেপি নাড্ডা। গতকালই কলকাতায় পৌছন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানায় বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। বুধবার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে জেপি নাড্ডার।
বঙ্গ বিজেপিতে অসন্তোষের মাঝেই দুদিনের রাজ্য সফরে জেপি নাড্ডা। গতকালই কলকাতায় পৌছন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানায় বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। নিউটাউনের বেসরকারি হোটেলে রাতেই তাঁর সঙ্গে বৈঠক সারেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্তা মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নের্তৃত্ব।
বুধবার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে জেপি নাড্ডার। প্রতমে চূচূড়ায় ঋষি অরবিন্দের স্মৃতি বিজরিত বন্দে মাতরম ভবনে যাবেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি। এরপর তিনি যাবেন চন্দননগরে রাসবিহারী বসু রিসার্চ ইন্সটিউটে। সেখান থেকে কলকাতায় ফিরে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে রাজ্য কমিটির বৈঠকে যোগ দেবেন। তারপর দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় যাবেন বেলুড় মঠ। দুপুর দুটোয় সায়েন্সসিটিতে রাজ্যের সকল মন্ডল সভাপতিদের নিয়ে সম্মেনে যোগ দেবেন নাড্ডা। এরপর সোয়া ৪ টে নাগাদ, কলকাতার বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে তাঁর আলাপচারিতা। বৃহস্পতিবার দিল্লি ফিরে যাবেন জেপি নাড্ডা।
আরও পড়ুন, ধর্মতলার ম্যানহোল থেকে মিলল গুজরাটি দম্পতির ফোন, ভবানীপুর জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
প্রসঙ্গত, শাহ-সফরের পরেই বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। উল্লেখ্য, গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত নিচুতলার সংগঠনের বেহাল অবস্থার যে রিপোর্ট শেষ মুহূর্তে এসেছিল তাতে নাড্ডার সফরে প্রবল চাপের মুখে সুকান্ত-শুভেন্দু অমিতাভরা। কারণ দুই দিনের সফরে বুথভিত্তিক রিপোর্ট নেবেন নাড্ডা। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তৈরি অধিকাংশ বুথ সভাপতিরাই অদৃশ্য। মূলত গেরুয়া শিবিরেরর ডামাডোল পরিস্থিতির উদ্ধারে বঙ্গবিজেপির রাজ্য কর্মসিমিতির বৈঠকে থাকবেন জেপি নাড্ডা। দলের একের পর নির্বাচন, উপনির্বাচনে হেরে জটিল পরিস্থিতি বঙ্গ বিজেপিতে। তার উপর শুরু হয়েছে ইস্তফার লাইন। অন্দরের বিতর্ক বাইরে বেরিয়ে আসছে। টুইটে একে অপরের বিরুদ্ধে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি করছেন অনেকেই। তবে এহেন পরিস্থিতির মাঝেই রাজ্য সফরে জেপি নাড্ডা।
আরও পড়ুন, স্ত্রীর কবজি কাটার ঘটনায় গ্রেফতার স্বামী, প্যানেলে নাম এলেও রেণু আর পাবেন কি সরকারি চাকরি
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের ফলের আগের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আটকে থাকা ভারতীয়দের ইস্যুতে অমিত শাহকে তোপ দেগেছিলেন মমতা। ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাহ বলেছিলেন, ' ৫ রাজ্যের নির্বাচনের মাঝেই এই যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় সরকারের কাজের ইতিবাচক প্রভাব পড়বে নির্বাচনের ফলেও।' স্বাভাবিকভাবে সেই কথা মিলেও গিয়েছে। একাধিক রাজ্যেই বড়সড় সংখ্যায় আসন জিতে বসে রয়েছে বিজেপি। সেখানে কংগ্রেস, সদ্য অংশ নেওয়া তৃণমূল প্রায় নিশ্চিহ্ন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে কিছুতেই আসন বাড়ছে না বিজেপি। একের পর এক নির্বাচন, উপনির্বাচনে হেরে জটিল পরিস্থিতি বঙ্গ বিজেপিতে। এহেন জটিল পরিস্থিতিতে অমিত শাহ-র পর এবার নাড্ডা-র রাজ্যে আসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।