সংক্ষিপ্ত
- জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবিদাওয়ার আন্দোলন ধীরে ধীরে শাসক বনাম ডাক্তার থেকে ডাক্তার বনাম রোগী হয়ে দাঁড়াচ্ছে
- আর তাতে খানিকটা আশঙ্কিত হয়েই চিকিৎসকমহল চাইছে বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি
ছয় দিন ধরে চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। এর জেরে কার্যত স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়েছে রাজ্য জুড়েই। জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবিদাওয়ার আন্দোলন ধীরে ধীরে শাসক বনাম ডাক্তার থেকে ডাক্তার বনাম রোগী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর তাতে খানিকটা আশঙ্কিত হয়েই চিকিৎসকমহল চাইছে বিষয়টিক দ্রুত নিষ্পত্তি।
গত সোমবার এক রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল এনআরএস চত্বর। বহিরাগতদের আক্রমণের মুখে পড়েন এক জুনিয়র চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়। গভীর চোট লাগে তাঁর মাথায়। এরপরেই তুমুল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে থাকে গোটা চিকিৎসক সমাজ। স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের পাঠিয়েও ঘটনার মোকাবিলা করতে উঠতে পারেনি প্রশাসন। হিতে বিপরীত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসমা জারির হুমকি দিলে। গণইস্তফা দিতে শুরু করেন চিকিৎসকেরা। কে আগে নীচু হবে এই খেলায়, তা স্থির করতে গিয়েই কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন। দুই পক্ষই বুঝতে পারছে আসলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনস্বাস্থ্য। তা কারও কাম্য নয়। তাই দুই পক্ষই সুর নরম করছে।
এখন অধিকাংশ আন্দোলনকারী চাইছে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হোক,উপস্থিত থাকুন রাজ্যপাল। চূড়ান্ত মত স্থির করতে জেনারেল বডি মিটিং ডেকেছে এনআরএস-এর ছাত্ররা। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন সেই বৈঠকে।
আরও পড়ুনঃ রোগীকে বাঁচাতে রক্ত চাই, দিলেন সেই জুনিয়র ডাক্তাররাই
গত শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রাজভবনে আসার আমন্ত্রণ জানান ছাত্রদের। সূত্রের খবর, ছাত্রদের এই স্থানে যেতে কোনও আপত্তিও নেই। যদিও উঠে এসেছে আরও দুই তিনটি জায়গার নাম। এখন অপেক্ষা জিবি শেষ হওয়ার।