সংক্ষিপ্ত
শনিবার থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরুর পাশাপাশি রাস্তা অবরোধেও নামেন পড়ুয়ারা। হাতে পোস্টার নিয়ে বেলগাছিয়া ব্রিজে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সময়ও আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Medical College) চত্বরে দেখা গিয়েছিল মেডিকেল পড়ুয়াদের (Medical Student) আন্দোলন। পুজো মিটতেই আরও জোরদার হল আন্দোলন (Agitation)। শনিবার থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরুর পাশাপাশি রাস্তা অবরোধেও (Road Block) নামেন পড়ুয়ারা। হাতে পোস্টার (Poster) নিয়ে বেলগাছিয়া ব্রিজে বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাহত হয় যানচলাচল।
বেশ অনেকদিন ধরেই চলছে আন্দোলন। কিন্তু, তার কোনও সমাধান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এনিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, অবিলম্বে অধ্যক্ষকে ইস্তফা (Resignation) দিতে হবে। আর জুনিয়র চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতির জেরে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। এর জেরে চিকিৎসা (Treatment) করাতে এসেও খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের (Patient)। এই পরিস্থিতিতে জট কাটতে এবার ময়দানে নামল স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। স্বাস্থ্য ভবনে অনশনকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তারপরই হস্তক্ষেপ করলেন স্বাস্থ্য সচিব।
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রাম এখন ‘মমতাময়ী নগর’, এলাকায় খুশির হাওয়া
সমস্যার সূত্রপাত অক্টোবরের শুরুতেই। কলেজ কাউন্সিলের ভোটাভুটি, অধ্যক্ষের ইস্তফা-সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, কলেজে কোনও সিন্ডিকেট নেই। সামান্য বিষয় নিয়ে বড় বেশি সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
আরও পড়ুন- 'আমরা ঘরে বসে থেকে রাজনীতি করতে চাইনা' ত্রিপুরায় তৃণমূলের মোক্ষম দাওয়াই দুয়ারে প্রচার
আন্দোলন চলায় হাসপাতালের মধ্যে অব্যস্থা চলছিল। সেই কারণেই তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয় স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। এমনকী মেডিকেল ছাত্রছাত্রীদের কথা শুনে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ৬ জন প্রতিনিধি রয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। এর আগে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে তাঁদেক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার আরজি জানিয়েছিলেন। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন- করোনার জেরে ঘরবন্দী, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে পড়ুয়াদের খেলার সামগ্রী দিল স্কুল
এদিকে টানা কর্মবিরতির জেরে পুজোর মধ্যেও আর জি কর হাসপাতালে সেভাবে চিকিৎসা পাননি অনেক রোগীই। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুজোর সময় জরুরি পরিস্থিতিতে (emergency situation) সারাদিনই চিকিৎসা পরিষেবার জন্য হাসপাতালগুলিকে (Hospital) প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। এদিকে পুজো মিটতেই ফের আন্দোলন জোরদার হয়েছে। শনিবার পোস্টার হাতে কলেজ লাগোয়া বেলগাছিয়া ব্রিজের একাংশ অবরোধ করেন চিকিৎসকদের একাংশ। ফলে কীভাবে এই স্বাভাবিক করা যায় তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।