সংক্ষিপ্ত
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর্ব থেকেই নারীশক্তির প্রতি বিশেষ জোর দিয়েছিলেন মমতা। আর এবার কলকাতা পুরনিগমেও মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে কলকাতা পুরভোটের ফলাফল (KMC Election Result)। ফের কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) দখল নিজেদের হাতে রাখতে পেরেছে তৃণমূল (TMC)। বৃহস্পতিবার কলকাতার পরবর্তী মেয়রের (Mayor) নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে বাকি মেয়র পারিষদের নামও ঘোষণা করেন তিনি। এছাড়া কলকাতার ১৬টি বরোর (Borough) মধ্যে ১০টির দায়িত্বই তুলে দিয়েছেন মহিলা কাউন্সিলরদের (Councilor) হাতে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর্ব থেকেই নারীশক্তির প্রতি বিশেষ জোর দিয়েছিলেন মমতা। আর এবার কলকাতা পুরনিগমেও মহিলাদের বিশেষ গুরুত্ব দিলেন তিনি। ১৬টি বরোর মধ্যে ১০টির দায়িত্ব মহিলা কাউন্সিলরদের দিলেন। পাশাপাশি পুরনিগমের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে মালা রায়কে।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্র নিবাস হলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে কলকাতা পুরনিগমের নির্বাচনে জয়ী কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। সেখানেই কলকাতার পরবর্তী মেয়র হিসেবে ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণা করেন তিনি। ডেপুটি মেয়র হয়েছেন অতীন ঘোষ। এরপর মেয়র পারিষদ ও বরো চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করেন মমতা। অভিজ্ঞতার নিরিখে দায়িত্ব বণ্টন করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তখনই দেখা যায়, কলকাতা পুরনিগমের ১৬টি বরোর মধ্যে ১০টি বরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলা কাউন্সিলরদের।
বরো চেয়ারম্যানের তালিকা অনুসারে, ১ নম্বর বরো কমিটিতে তরুণ সাহা, ২ নম্বর বরোতে শুক্লা ভড়, ৩ নম্বর বরোর দায়িত্বে অনিন্দ্য রাউত, ৪ নম্বর বরোর দায়িত্বে সাধনা বোস, ৫ নম্বর বরোয় রেহানা খাতুন, ৬ নম্বর বরো সানা আহমেদের, ৭ নম্বর বরোর দায়িত্বে সুস্মিতা ভট্টাচার্য, ৮ নম্বর বরোতে চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, ৯ নম্বর বরোয় দেবলীনা বিশ্বাস, ১০ বরোতে জুঁই বিশ্বাস, ১১ নম্বর বরোর দায়িত্বে তারকেশ্বর চক্রবর্তী, ১২ নম্বর বরোয় সুশান্ত ঘোষ, ১৩ নম্বর বরোতে রত্না শূর, ১৪ নম্বর বরো সংহিতা দাসের, ১৫ নম্বর বরোয় রঞ্জিত শীল এবং ১৬ নম্বর বরোর দায়িত্বে থাকবেন সুদীপ পোল। তবে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দায়িত্ব বণ্টন করলেও দেখা গিয়েছে যে সানা আহমেদ ও দেবলীনা বিশ্বাস একবার করে মাত্র কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন। আর বাকি আটজন ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন।
সব ঘোষণার পর কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "১৩৪ জন কাউন্সিলরকে আমার অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বহু কুৎসা এবং চরিত্র হননের চেষ্টার পরও সাধারণ মানুষ আমাদের উপর ভরসা রেখেছেন। সেই আস্থার দাম আমাদের দিতেই হবে। আমাদের ১৬টা বরোর মধ্যে ১০টি বরো কমিটির চেয়ারম্যানই মহিলা। এটা নারীর ক্ষমতায়নের একটা প্রকাশ।"