সংক্ষিপ্ত
মানিকতলায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে জে এন রায় হাসপাতালে বিরিয়ানি খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। যা নিয়েও বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের স্পষ্ট অভিযোগ বিরিয়ানীর প্রলোভন দেখিয়ে ভোটারদের টানার চেষ্টা করছে বিজেপি।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ১৯ ডিসেম্বরের(19 december) সকাল হতেই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে কলকাতাবাসী(Kolkata)। শুরু হয়ে গিয়েছে পুরযুদ্ধ। এদিকে শহরের ভোট নিয়ে সকাল থেকেই সরগরম তিলোত্তমার রাজনীতি। কোথাও কংগ্রেস প্রার্থীকে ফলো করার অভিযোগ নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। কোথাও বিজেপি প্রার্থীকে ফলো করার অভিযোগ উঠছে নির্দল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে মানিকতলায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে(ward number 28 of Maniktala) জে এন রায় হাসপাতালে বিরিয়ানি(Biriyani) খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল বিপির(BJP) বিরুদ্ধে। যা নিয়েও বর্তমানে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের(Trinamool-congress) স্পষ্ট অভিযোগ বিরিয়ানীর প্রলোভন দেখিয়ে ভোটারদের(Voter) টানার চেষ্টা করছে বিজেপি।
এদিকে এই ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়ে গিয়েছে যে বেসরকারি হাসপাতালে ওই বিরায়ানী রান্না হচ্ছিল তাদের ভূমিকা। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই কার্যত অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি কর্মী ও রোগীদের জন্যই রান্না করা হয়েছে বিরিয়ানি। যদিও প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালে মূলত রোগ নির্মূল করতেই যান রোগীরা। সেখানে তাদের মূলত কম মশালার সুষম আহার দেওয়ার রেওয়াজই রয়েছে বেশিরভাগ হাসপাতালে(Hospital)। কিন্তু এখানে বিরিয়ানী রান্না হওয়ার দাবিতে হতবাক সকলে। তবে বেসরকারি হাসপাতালের ওই সাফাই যে খুব একটা ঢোপে টিকছে না তা বুঝতে পারছেন সকলেই। এদিকে এই ইস্যুতেই ক্রমাগত গেরুয়া শিবিরের উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন-দুয়ারে সরকার শুরু হওয়ার আগেই মানুষের দুয়ারে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন, শুরু হল প্রস্তুতি শিবির
তবে শুধু বিরিয়ানি নয়, সঙ্গে রয়েছে চিকেন চাপ। তৃণমূল প্রার্থী অয়ন চক্রবর্তীর অভিযোগ, গতকাল রাত থেকে এলাকার ওই হাসপাতালের ছাদে চলছে বিরিয়ানি, চিকেন চাপ রান্নার কাজ। এদিন সকাল হতে তাতে আরও গতি আসে। এদিকে এই খবর সামনে আসতেই বিস্তর রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়। তবে এই ঘটনায় বিজেপি-র পক্ষ থেকে এখও পর্যন্ত অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে মানিকতলার ২৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়াও এদিন একাধিক বুথ থেকে আসছে ছাপ্পা ভোট সহ ভোটারদের প্রভাববিত করার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই কসবা বোসপুকুর এলাকায় ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম এজেন্টের বাড়ি গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এজেন্টের বাড়ি যান সিপিএম প্রার্থী দীপু দাস। অন্যদিকে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের খান্না হাইস্কুলের সামনে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ। পরপর দুটি বোমা পড়ে বলে শোনা যায়। যার জেরে ব্যাপতক আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়।