সংক্ষিপ্ত

কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চলেছেন তৃণমূলের প্রার্থী তথা বিদায়ী কাউন্সিলর শামস ইকবাল। কারণ গোটা ওয়ার্ড কার্যত বিরোধী শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। লড়াই হতে চলেছে নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে। আর তাতে যে জয় একপ্রকার নিশ্চিত তা এখনই বুঝে গিয়েছেন সকলে।

 

বেজে গিয়েছে পুরভোটের দামামা(KMC election)। আগামী ১৯ তারিখ ফের নিজেদের নির্বাচনী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চলেছেন কলকাতার সাধারণ মানুষ। কিন্তু এরইমধ্যে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমে উঠেছে নির্বাচনী তরজা। এমনকী শেষ মুহূর্তের প্রচারে এক বিন্দু জমি ছাড়তে নারাজ শাসক-বিরোধী কোনও দলের প্রার্থীরাই। বাম(Left) হোক বা বিজেপি(BJP), তৃণমূল(TMC) হোক বা কংগ্রেস(Congress), বাক যুদ্ধে ক্রমেই জমে উঠেছে খেলা। কিন্তু সম্পূর্ণ অন্যচিত্র ধরা পড়ছে ১৩৪ নম্বরেও ওয়ার্ডে। এখানে কার্যত ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চলেছেন তৃণমূলের প্রার্থী(Trinamool Candidate) তথা বিদায়ী কাউন্সিলর শামস ইকবাল। কারণ গোটা ওয়ার্ড কার্যত বিরোধী শূন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে। লড়াই হতে চলেছে নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে। আর তাতে যে জয় একপ্রকার নিশ্চিত তা এখনই বুঝে গিয়েছেন সকলে।

সহজ কথায় রাজ্যের তিন বড় বিরোধী দলের কোনও প্রার্থীই নেই ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে। সিপিআইএম, কংগ্রেস এই ওয়ার্ডে কোনও প্রার্থী দেয়নি। অন্যদিকে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেও শেষে তা তুলে নিয়েছেন প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-র প্রার্থী মুমতাজ আলি। আর তাতেই যেন ফাঁকা মাঠে বসে বসে গোল দিতে চলেছেন শাসক দলের প্রার্থী। তা নিয়ে বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে তিলোত্তমার রাজনীতিতে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে একবারে বিরোধী শূন্য নয় এই ওয়ার্ড। প্রার্থী রয়েছে কলকাতার ১৫ নম্বর বরোর ওই ওয়ার্ডে। দাঁড়িয়েছেন তিন জন নির্দল প্রার্থী। তবে তাদের কে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ শামস

আরও পড়ুন -KMC Election: ১৪৪টির মধ্যে তার দল ১৩৫টি আসন পাবে তৃণমূল, মালার দাবি ঘিরে চর্চা তুঙ্গে

তবে শক্তিশালী বিরোধী দলগুলি গার্ডেনরিচের এই ওয়ার্ডে কেন প্রার্থী দিল সেই অনুসন্ধানে বেরিয়ে উঠে আসছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি এবং বন্দর এলাকার নেতা মহম্মদ মোক্তারের দাবি, ওই ওয়ার্ডে সিপিএমের সংগঠন তাঁদের চেয়ে ভাল। আগে সিপিএমের কাউন্সিলর ছিলেন এই এলাকায়। কংগ্রেসের দাবি সিপিএমের কথা ভেবেই ওই ওয়ার্ড ছেড়ে রেখেছিলেন তারা, কিন্তু সিপিএম কেন প্রার্থী দিলনা তা তারা জানেন না। অন্যদিকে সিপিএমের কলকাতা জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদারের আবার দাবি ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে মুন্না ইকবাল আর ১৩৫ নম্বরে শামসুজ্জামান আনসারির লোকজন মিলে দুই ওয়ার্ডে এমন সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে যে কেউই প্রার্থী হতে রাজি হননি। তাই তাদের পক্ষে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে কার্যত সিপিআইএম-র অভযোগকেই মান্যতা দিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।