সংক্ষিপ্ত
- সিইএসসি-র বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে উত্তাল কলকাতা
- বিদ্যুৎ না পেয়ে রাজ্য়কে কাঠগড়ায় তুলেছে মহানগরবাসী
- যদিও ব্যর্থতার দায় রাজ্য়ের নয় বললেন ফিরহাদ হাকিম
- সিইএসসি পুরসভা বা রাজ্যের দায়িত্ব নয় বললেন পুরমন্ত্রী
রাজ্যে আমফান পরবর্তী সময় সিইএসসি-র বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে উত্তাল হয়েছে কলকাতা। বহু জায়গায় বিদ্যুৎ না পেয়ে রাজ্য় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে মহানগরবাসী। যদিও এই ব্যর্থতার দায় রাজ্য় সরকারের নয় বলে জানিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মতে, সিইএসসি পুরসভা বা রাজ্যের দায়িত্ব নয়, ব্যর্থতার দায় সরকারের হতে পারে না।
এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, সিইএসসি-র জন্য মানুষের অসুবিধা হয়েছে। সিইএসসি পুরসভা বা রাজ্যের দায়িত্ব নয়। সিইএসসি জানিয়েছে, ইতিমধ্য়েই ৫০ শতাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ ফিরেছে। আগেই কলকাতায় আমফানে উপড়ে যাওয়া গাছ কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলেছিল সিইএসসি। যদিও ফিরহাদ জানান, শুধু গাছ কাটা হয়নি বলে সমস্যা, এমনটা নয়। ওদেরও যে কর্মীর অভাব ছিল তা স্বীকার করে নিয়েছে সংস্থা। তবে এটা দোষারোপ করার সময় নয়। আগাম পরিকল্পনা থাকলেও গাছ কাটতে সময় লাগে।
রাজ্য়ের আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি বলছে, বিগত চার দিন জল বিদ্যুৎ না পেয়ে হাহাকার অবস্থা হয় কলকাতা ও কলকাতা সংলগ্ন বহু এলাকার। যার জেরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় মহানগরবাসী। যদিও পুরমন্ত্রীর দাবি, ইতিমধ্য়েই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ফ্ল্যাটের নীচে জল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও অসুবিধা হচ্ছে। ব্যর্থতার দায় সরকারের হতে পারে না।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদাহরণ টেনে আনেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, দেশ করোনা আক্রান্ত বলে তো আর মোদীর দোষ হতে পারে না। সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষকে রক্ষা করতে হবে। যারা দোষারোপ করছে, ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। শনিবার একই কথা শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। পুরমন্ত্রীর থেকে একধাপ এগিয়ে মমতা বলেন, সিইএসসি সিপিএম আমলের একটি বেসরকারি সংস্থা। তাই তার দায় রাজ্য় সরকারের হতে পারে না।