সংক্ষিপ্ত
- বনেদি বাড়ির পুজো ছাড়া কলকাতার পুজো অসম্পূর্ণ
- সেই পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে চোরবাগান চট্টোপাধ্যায় পরিবারে
- সেখানে আজও পুরনো রীতি মেনেই পুজো হয়
- সেখানকার পুজোয় আছে আরও নানা বিশেষত্ব
আসছে পুজো, আর তার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগে থেকেই। পুজো যে আর বেশি দেরি নেই তা জানান দিচ্ছে কলকাতার থিমের পুজোগুলো থেকে শুরু করে বাড়ির পুজোগুলিও। কলকাতার বনেদি বাড়িগুলোরও পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে অনেকদিন থেকেই। এই বাড়িগুলিতে রথের দিন থেকেই পুজোর হাওয়া লেগে যায়। চোরবাগান চট্টোপাধ্যায় পরিবারেও সেই দিনেই হয়ে যায় প্রতিমার বায়না। সেখানকার পুজোর আছে আরও নানা ঐতিহ্য।
আরও পড়ুন- নাম লেখাননি এখনও, দেরি না করে অংশ নিন এশিয়ানেট নিউজ শারদ সম্মান ২০১৯-এ
এই পুজো শুরু হয়েছিল আজ থেকে বহুদিন আগে। কলকাতায় তখন ব্রিটিশ শাসনকাল। সেই সময়েই উত্তর কলকাতায় পুজো শুরু করেছিলেন রাজা রামচন্দ্র চন্দ্র চট্টপাধ্যায়। দেড়শো বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে এই পুজো চলে আসছে। আগে বাড়িতেই প্রতিমা তৈরি হলেও এখন সেখানে ঠাকুর আসে কুমোরটুলি থেকে। সেই ঠাকুরের বায়না হয়ে যায় রথের দিনই। সেখানে কাঠামো পুজো হয় জন্মাষ্টমির দিন। রীতি মেনে মায়ের চক্ষুদান হয় মহালয়ের দিন। বাড়িতে মায়ের আগমণ ঘটে দ্বিতীয়ার দিন।
আরও পড়ুন- এবার পুজোয় ১৫ লাখ! জানতে হলে আসতে হবে চোরবাগানানের পুজোয়
আজও সেখানে পুরনো সব রীতি মেনেই পুজো হয়। এখানকার পুজোর বেশ কিছু বিশেষত্ব আছে তার মধ্যে একটি হল এই চট্টোপাধ্যায় পরিবারের ছেলেরাই মায়ের ভোগ বানিয়ে থাকেন। এছাড়াও প্রতি বছরেই মা নতুন বেনারসি আর বিশেষ সোনার গহনার সাজে সজ্জিত হন। বাড়ির সদস্যরা মনে করেন ষষ্ঠীর দিন মা স্বয়ং এসে বেলতলায় বিশ্রাম নেন। আর সেখান থেকেই মা -কে বাড়ির মহিলা সদস্যরা বরণ করে নিয়ে আসেন। মাকে বরণ করার সময় বাড়ির সব মহিলা বিশেষ ভাবে সাজগোজ করেন। আর সেই ভাবেই তারা মাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
চোরবাগান চট্টোপাধ্যায় পরিবারের আজও মাকে বিদায় জানান হয় বিশেষ একটি গান শুনিয়ে। সেই গান গেয়ে থাকেন বাড়ির সদস্যরাই। এখন তবে বিদায়ের নয় মায়ের আসার অপেক্ষায় বসে আছেন সকলে। মায়ের আসার অপেক্ষায় দিন গুনছেন চোরবাগান চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরাও। সেই বাড়ির এই সব বিশেষত্ব দেখতে গেলে এবার পুজোয় লিস্টে রাখতেই হবে চোরবাগান চট্টোপাধ্যায় পরিবারের পুজো। সেই পুজো দেখতে হলে যেতে হবে উত্তর কলকাতার চোরবাগানে।