সংক্ষিপ্ত

  • এই প্রথম লেবার রুমে উপস্থিত থাকল প্রসূতির বাড়ির লোক 
  • পথ দেখাল কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল 
  •  হু-র নীতি মেনেই বার্থ কম্প্যানিয়নদের লেবার রুমে  রাখা হচ্ছে 
  • এই প্রকল্পের ফলে প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর হারও অনেকটাই কমেছে  

এই প্রথম সরকারি হাসপাতালের লেবার রুমে উপস্থিত থাকল প্রসূতির বাড়ির লোক।  পথ দেখাল কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল একেবারে ইউরোপের 'বার্থ কম্প্যানিয়ন'মডেলের ধাঁচে। এতে সহজ হবে চিকিৎসক-নার্সদের।  পাশাপাশি নিজের লোককে কাছে পেয়ে, প্রসুতির প্রসব যন্ত্রনা অনেকটাই কমবে । তবে এই সুযোগের সঙ্গে কিছু শর্তও আছে। সেগুলি ঠিক হলেই লেবার রুমে মিলবে প্রসুতির সঙ্গে থাকার অধিকার।

আরও পড়ুন, করোনার উপসর্গ না থাকলেও সহযাত্রীদের ভর্তির নির্দেশ, কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের


অগ্রাধিকার পাচ্ছেন প্রসবের অভিজ্ঞতা থাকা মহিলারাই। তবে কয়েকটি শর্ত আছে। যেমন 'প্রসব সঙ্গী'কে সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে চলবে না। লেবার রুমে ডাক্তার-নার্সদের কাজে চলবে না নাক গলানো। আর অবশ্যই হতে হবে সাহসী। ন্যাশনালের স্ত্রীরোগ বিভাগের প্রধান ডা. আরতি বিশ্বাস জানিয়েছেন , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  গাইডলাইন মেনেই বার্থ কম্প্যানিয়নদের লেবার রুমে মজুত রাখা হচ্ছে।  মা, শাশুড়ি, বউদি, মাসি, কাকিমা, পিসিমা, যে কেউ হতে পারেন লেবার রুমের প্রসব সঙ্গী। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামাকাপড়ের উপর বিশেষ পোশাক পরিয়ে তাঁদের লেবার রুমে ঢোকানো হচ্ছে। এখন ৮৫ শতাংশ স্বাভাবিক প্রসবেই বাড়ির লোক থাকছে। গত ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বর ন্যাশনালের এই প্রকল্প উচ্চ প্রশংসিত হয়েছে দিল্লিতে। আরতিদেবীকে শংসাপত্র দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্ম কমিশনার দীনেশ জয়সওয়াল।

আরও পড়ুন, শহরে ফের পেটিএম প্রতারণা, গ্রেফতার ৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার(হু) গাইডলাইন মেনেই বার্থ কম্প্যানিয়নদের লেবার রুমে মজুত রাখা হচ্ছে। এটি ভারত সরকারের 'লেবার রুম কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট ইনিশিয়েটিভ' বা লক্ষ্য প্রকল্পের অঙ্গ। বাড়ির লোক থাকায় ডাক্তার-নার্সদের অনেক সুবিধা হয়েছে। লেবার রুমেই বাচ্চা এখন মায়ের দুধ খেতে পারছে। প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর হারও অনেকটাই কমেছে। সবচেয়ে বড় কথা সদ্যোজাতর লিঙ্গ নিয়ে বিভ্রান্তিও এড়ানো যাচ্ছে। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই লেবার রুমের পরিবেশ ফেরানোর জন্য নার্সদের বেশ কয়েকবার পরামর্শ দিয়েছে। তাই প্রসুতিকে ভরসা জোগাতে, মানসিক শক্তি দিতে সফল এই 'বার্থ কম্প্যানিয়ন' প্রকল্প।