সংক্ষিপ্ত

  • ভার্জিন গুলবেনকিয়ান একজন পেশাদার কাহিনীকার 
  • তিনি  জানান যে লোক ও রূপকথার পুনর্নির্মাণ করেছেন
  • ভারতের পাঁচটি শহরে পেশাদারদের ওয়ার্কশপ করাচ্ছেন
  • দিল্লির লোক-ঐতিহ্যের প্রতি তিনি খুবই আকৃষ্ট হয়েছেন 

আমরা যতনা বই পড়ে বড় হয়েছি, তার থেকে অনেক বেশী গল্প শুনে বড় হয়েছি। চোখ খুলে শোনা কিংবা ঘুম ঘুম চোখে শোনা। যেভাবেই শুনিনা কেন, মুখ থেকে শোনা গল্পই সব থেকে বেশী মনে থাকে। ঠাকুমার মুখ  থেকে নাতি শোনে, নাতি আবার বড় হয়ে অন্য়দের শোনায়। এভাবেই গল্প ঘুরতে থাকে। তবে হ্য়াঁ ছোট বেলায় শোনা গল্পই বেশী মনে থাকে। কিন্তু এখনকার বাচ্চারা তো আগের মত ঠাকুমাদেরও কাছে পায়না, তাই গল্প শোনার সুযোগও অনেক কম। আর এমনই একটা সময় নানা দেশের গল্প ঝুলিতে নিয়ে ব্রিটিশ কাহিনীকার ভার্জিন গুলবেনকিয়ান শহরে এলেন। আর্মেনিয়ান স্টাইলে মুখে মুখে গল্প শোনালেন কলকাতার বাচ্চাদের। মহাভারতের গল্প তার ভারি পছন্দ।

ব্রিটিশ ভার্জিন গুলবেনকিয়ান আসলে একজন পেশাদার কাহিনীকার এবং ক্র্যানোস্যাক্রাল থেরাপিস্ট। ভারতের পাঁচটি শহরে ভার্জিন গুলবেনকিয়ান , সারা দেশের বিভিন্ন পেশাদারদের জন্য ওয়ার্কশপ করাচ্ছেন। গুলবেনকিয়ানের মতে, ভারতীয় দর্শকদের তার খুব তীক্ষ্ণ বলে মনে হয়। তাদের কাছে রূপকতার অন্তর্নিহিত ধারণা রয়েছে। সম্ভবত ভবিষ্যতে তিনি তার প্রতিবেদনে কিছু ভারতীয় গল্প ব্যবহার করতে পারেন। তিনি খুব খুশি এই ভারত সফরে এসে। তিনি জানান, দিল্লির লোক-ঐতিহ্যের প্রতি তিনি খুবই আকৃষ্ট হয়েছেন।

গুলবেনকিয়ান আরোও জানান যে, তিনি লোক ও রূপকথার পুনর্নির্মাণ করেছেন এবং তবে প্রায়শই তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কাজে লাগছিল। ব্রিটিশ কাউন্সিলে তাঁর গান, গল্প আর অভিনয়ের মধ্য়ে দিয়ে বাচ্চারা অনেক কিছুই শিখল।  ঠাকুমাদেরও কাছে না পেলেও বাচ্চাদের ভালোই মন ভরল।