সংক্ষিপ্ত
কলকাতা পুরসভার হাতে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকা আর নেই। যে পরিমাণ বেঁচে রয়েছে, তা দিয়ে খুব বেশি হলে আগামী দুদিন টিকা দেওয়া যাবে।
টিকার মজুত শেষ। কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality) হাতে কোভিশিল্ড (Covishield) বা কোভ্যাক্সিন (Covaxin) টিকা আর নেই। যে পরিমাণ বেঁচে রয়েছে, তা দিয়ে খুব বেশি হলে আগামী দুদিন টিকা দেওয়া যাবে। এমনই ঘোষণা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim)। তিনি জানান, কলকাতা পুরসভার হাতে খুব কম সংখ্যক ভ্যাকসিন রয়েছে। তা সে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন যাই হোক না কেন।
কলকাতা পুরসভা জানাচ্ছে এখনও এক থেকে দেড় লক্ষ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে, যা দিয়ে আগামী দুদিন সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। তারপরেই বন্ধ করে দিতে হবে টিকাকরণ। এরপরেও যদি ভ্যাকসিন না আসে তবে টিকাকরণ কতদিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, তা জানাতে পারছে না কলকাতা পুরসভা। ভ্যাকসিনের পাশাপাশি অভাব দেখা দিয়েছে সিরিঞ্জের। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত কোম্পানি সিরিঞ্জ উৎপাদন করে তাদের বলা হয়েছে তারা দিন রাত করে উৎপাদন করতে। যাতে সরবরাহে ঘাটতি না পড়ে।
এদিন বেশ কতগুলি বিতর্কিত বিষয় তুলে আনলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন প্রথম থেকেই রাজ্য সরকারকে কেন্দ্র কম সংখ্যক ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে। তার মধ্যে যেহেতু উত্তরপ্রদেশে ভোট রয়েছে, তাই সেখানে বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে যে সমস্ত রাজ্যগুলি বিজেপি শাসিত সেখানেও বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে।
ফিরহাদ আরেকটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। ফিরহাদ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন কোন এক ব্যক্তির জন্মদিনের জন্য বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন স্টক করা হচ্ছে। যাতে জন্মদিনের দিন উপহার স্বরূপ তা দেওয়া যায়। তার ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। মেয়র জানান এসব বাংলায় করে চলবে না। বাংলার মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠাতেই হবে। ইতিমধ্যে নব্বই শতাংশ লোকের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে। এবং দ্বিতীয় ডোজ যাতে দেওয়া যায় সেদিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
রসগোল্লাকে ইংরেজিতে কী বলে জানেন, মজার প্রশ্নে হোঁচট খাচ্ছেন ৯৯ শতাংশ মানুষ
মৃত্যুর পরের এক ঘন্টায় দেহের সাথে কী কী হয়, না শুনলে বিশ্বাস করবেন না
এদিকে, সোমবার থেকেই কলকাতা পুরসভার ৩৯টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভ্যাক্সিন টিকাকরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য এই টিকাকরণ বন্ধ থাকছে বলে পুরসভার তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্র থেকে যতদিন না পর্যন্ত টিকা রাজ্যে এসে না পৌঁছাবে ততদিন কোভ্যাক্সিনের টিকাকরণ বন্ধ থাকবে। রাজ্যে টিকা আসার পর তা বণ্টন হয়ে কলকাতা পুরসভার কাছে এসে পৌঁছনোর পর ফের শুরু করা যাবে কোভ্যাক্সিন টিকা।