সংক্ষিপ্ত

  • বড়দিনের রাতেই ধরা পড়ল শহরে, মাদক পাচারকারীর দল 
  •  গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ
  • ধৃতদের থেকে প্রায় ৫.৪ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে
  • উৎসবের মরসুমে, মাদক ছড়িয়ে দেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য়

বড়দিনের রাতেই ধরা পড়ল শহরে, মাদক পাচারকারীর দল। যাদের মূলত লক্ষ্য় ছিল এই উৎসবের মরসুমে কলকাতার বুকে মাদক ছড়িয়ে দিয়ে বিপুল পরিমানে মুনাফা জিতে নেওয়া। বুধবার রাতে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাতে আনন্দপুর থানা এলাকার চৌবাগা ক্যানেল সাইড রোড থেকে পাচারকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকার হেরোইন ও তিন কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট। জেরার পর পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে,  বড়দিন ও বছর শেষের রাতে বিভিন্ন পার্টিতে ব্যবহারের জন্য এই বিপুল পরিমাণ মাদক পাচারকারীরা নিয়ে এসেছিল। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন, 'দিদি'কে বলেও মিলল না সুরাহা, পচনধরা পা নিয়ে চার হাসপাতালে চক্কর যুবকের


গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে আনন্দপুর থানা এলাকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন্স ট্রেডের কাছে পুলিশ টহল দিচ্ছিল। ঠিক সেই মুহূর্তেই তিন সন্দেহভাজন ব্য়ক্তি তাদের নজরে আসে। তারপর তাদেরকে  তল্লাশি করতে বেরিয়ে আসে প্রচুর পরিমানে মাদক। পুলিশের চোখে ধুলো দেবার জন্য় তারা মুশুরির ডালের মধ্য়ে প্য়াকেট করে বিপুল পরিমানে মাদক পাচার করছিল। তাদের থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১৩ কেজিরও ওপরে হেরোইন, ইয়াবা, অ্যামফেটামাইন ট্যাবলেট। যার আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য ৫.৪ কোটি টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহম্মদ আমির খান মণিপুরের লিলংয়ের বাসিন্দা। সৈয়দ কাজু দেওয়ানের বাড়ি অসমের কামরূপে এবং মহম্মদ পাশমুদ্দিন উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।  আজ বৃহস্পতিবার  ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।

আরও পড়ুুন, বিহারি প্রতিবেশী ডাকাত, কলকাতা পুলিশের জালে ৬ জনের গ্য়াং


পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতেও আনন্দপুর সহ কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাদক পাচারকারীদের উদ্ধার করেছে এসটিএফ। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক। তবে ধৃতদের থেকে আরও কিছু নতুন তথ্য়ও উঠে আসবে বলে অনুমান করছে পুলিশ। মূলত বড়দিন ও বছর শেষের রাতে বিভিন্ন পার্টিতে, সক্রিয়ভাবে মাদক পাচার চালায়,  উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে কিছু অপরাধ চক্র। তাই নতুন বছরের আগে যাতে কোনও ভাবেই পুনরায় মাদক পাচার না করা যায়, সে বিষয়ে কড়া নজরদারী চালাচ্ছে পুলিশ।