সংক্ষিপ্ত
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
ভবানীপুর উপনির্বাচনের (Bhabanipur By-Election) গণনা চলছে। প্রথম থেকেই অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল (Priyanka Tibrewal)। ভবানীপুর কার দখলে থাকবে তা জানা যাবে আজ বিকেলেই। তবে ফল ঘোষণার আগেই হাইকোর্টের (Culcutta High Court) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখলেন প্রিয়াঙ্কা। ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) রুখতে আদালত যাতে কলকাতা পুলিশকে (Kolkata Police) কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয় সেই আবেদন করেছেন তিনি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর পাওয়া যাচ্ছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী, হিংসার অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযো তুলেছিল বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলায় প্রথম থেকেই ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল।
এদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ওই দিন সকাল থেকেই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ভোটের শুরু থেকেই বুথ জ্যামের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। বিভিন্ন বুথে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ১২৬ নম্বরে বুথে গিয়ে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, "উনি যেই বুথের কথা বলছেন সেই বুথে ওঁর ভোটার রয়েছে। তাহলে কেন বুথ জ্যাম হবে। আসনে উনি নতুন ভোটে নেমেছেন তো তাই জানেন না যে ভবানীপুরে বুথ জ্যাম হয় না। এখানে মানুষ উৎসবের মতো নিজের ভোট নিজে দেন। আমিও যদি এখানে বুথ জ্যাম করার চেষ্টা করি তাহলে গোটা পাড়া আমার বিরুদ্ধে চলে যাবে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটের একটা আলাদা আবেগ রয়েছে।" পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ উড়িয়ে নির্বাচন কমিশনও জানিয়ে দেয়, মক পোলের জন্য দেরি হয়েছে। কোনও ইভিএম বিভ্রাট হয়নি।
আরও পড়ুন- 'খুব ভাল ফল হবে, বিরাট মার্জিনে জিতবেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়', চ্যালেঞ্জ ফিরহাদের
ভবানীপুরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বর। ওই দুই কেন্দ্রেও আজ ভোট গণনা চলছে। যদিও গোটা দেশের নজর এখন রয়েছে ভবানীপুরের দিকে। কারণ এই আসনে লড়াই মমতার কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। এই আসনে জিতলে তবেই 'মুখ্যমন্ত্রী'-র পদ ধরে রাখতে পারবেন তিনি। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে মোড়া রয়েছে গণনাকেন্দ্রে। প্রথম বলয়ে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ, দ্বিতীয় বলয়ে রাজ্য পুলিশ ও তৃতীয় বলয়ে অর্থাৎ গণনাকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোট ২৪ জন জওয়ান বাইরে মোতায়েন রয়েছে। গণনাকেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে চলছে গণনা, নেত্রীর জয় চেয়ে পুরুলিয়ায় ধামসা মাদল বাজিয়ে পুজো তৃণমূলের
উপনির্বাচনের গণনার আগেই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল, বিজেপি দুই দলই। ফিরহাদ হাকিম বলেন, "ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিশ্চিত। ৫০ থেকে ৭০ হাজার ভোটে জিতবেন তৃণমূল নেত্রী।" অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "আমরা জনতার উপরে ভরসা রেখেছি। হাতে আমাদের যা ক্ষমতা ছিল সেই ক্ষমতা নিয়ে আমরা প্রচার করেছি আমাদের প্রার্থী অসাধারণ লড়াই করেছেন।" আর ভোট ফল প্রকাশেই আগেই ভোট পরবর্তী হিংসার কথা মাথায় রেখে হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেন প্রিয়াঙ্কা।