সংক্ষিপ্ত
- পঞ্চসায়রের মানসিক রোগীকে গণধর্ষণে নতুন তথ্য পেল পুলিশ
- নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে ফিরোজকে খুঁজছে পুলিশ
- গাড়িতে তোলার পর থেকেই বার বার দুষ্কৃতীদের মুখে ফিরোজের নাম
- এই ফিরোজকেই এখন হন্য়ে হয়ে খুঁজছে পুলিশ
পঞ্চসায়রের মানসিক রোগীকে গণধর্ষণে নতুন তথ্য পেল পুলিশ। নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে ফিরোজকে খুঁজছে পুলিশ। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, গাড়িতে তোলার পর থেকেই বার বার দুষ্কৃতীদের মুখে ফিরোজের নাম শুনতে পান তিনি। এই ফিরোজকেই এখন হন্য়ে হয়ে খুঁজছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্য়েই পঞ্চসায়র থেকে বাইপাস ধরে একাধিক দুষ্কৃতীর তথ্য তালাশ শুরু করেছে পুলিশ। এই তালিকায় দাগী আসামি থেকে জেল জামিনে মুক্ত অপরাধীদের নামও রয়েছে। খোঁজ করা হচ্ছে সেই সাদা গাড়ির। বাইপাসের ধার থেকে যেই গাড়িতে চলে পাশবিক অত্যাচার। আক্রান্ত মহিলার আত্মীয় জানান, গাড়িতে তোলার পর বার বার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। সোমবার রাতের ঘটনাকে ঘিরে ফের পার্কস্ট্রিটের গণধর্ষণের স্মৃতি ফিরেছে কলকাতায়। গাড়িতে তুলে রাতভর গণধর্ষণের পর মহিলাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে সোনারপুরের রাস্তায়। পঞ্চসায়রের এই ঘটনায় ফের মহানগরের মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এবার ধর্ষকদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক মানসিক রোগী। ঘটনাটি ঘটেছে , সোমবার রাতে পঞ্চসায়র এলাকায়। নির্যাতিতার আত্মীয় জানান, সোমবার রাত তিনটে নাগাদ বছর পঁয়ত্রিশের ওই মহিলা পঞ্চসায়রের এক হোম থেকে তালা ভেঙে বেরিয়ে যায়। সেই সময় পিয়ারলেসের কাছে অন্ধকার রাস্তায় একটি সাদা গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মহিলাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই গাড়ি। চলন্ত গাড়িতেই নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। অভিযোগ, শারীরিক অত্যাচারের পাশাপাশি ব্যাপক মারধরও করা হয় ওই মহিলাকে।
মঙ্গলবার সকালে গাড়ি থামিয়ে সোনারপুর স্টেশন এর কাছে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় মহিলাকে। পরে ধাতস্ত হয়ে সোনারপুর স্টেশনে যান। কিছু মহিলার সাহায্যে গড়িয়াহাটে আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছন। সেখান থেকেই বেহালায় দিদিকে বিষয়টি জানান। পুলিশকে দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, গাড়িতে বার বার ফিরোজ নামের একটি ছেলের নাম শোনেন ওই মহিলা। তিনি জানান, প্রথমে একটি খাল পাড়ে নিয়ে গিয়ে একজন ধর্ষণ করে তাঁকে। পরে ড্রাইভার সিটে বসা ব্যক্তি তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। হোম ও রাস্তার সিসিটিভ ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।