একদিকে প্রচন্ড গরম। তার উপর কাজ করছে না এসি, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি জনসমাগম সব মিলিয়ে প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছিলেন কেকে, কিন্তু সেই সমস্ত শারীরিক কষ্টকে উপেক্ষা করেও ঘাম মুছতে মুছতে আর জল খেয়েই ফের যেন মঞ্চে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন বছর ৫৩-র কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। কেকে-র লাইভ কনসার্টের ভিডিও নিয়ে এখন ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ভক্তরা। কেন এমন ব্যবস্থাপনা, তা নিয়ে উঠছে হাজারো প্রশ্ন। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন হৃদরোগ জনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে গায়কের। তারা জানিয়েছেন হৃদপিন্ডের কাজ আচমকা বন্ধ হওয়ায় মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। আর তার জেরেই মৃত্যু বলে অনুমান করা হচ্ছে।
- Home
- West Bengal
- Kolkata
- Singer KK Passes Away Live: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটে কেকে-কে শেষ শ্রদ্ধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Singer KK Passes Away Live: রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটে কেকে-কে শেষ শ্রদ্ধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
চির ঘুমের দেশে কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী কেকে। কলকাতার নজরুল মঞ্চে গান গাইতে গাইতে গরমে অসুস্থ বোধ করেন। স্পট লাইটে অসুবিধা হচ্ছিল বারবার জানান। এরপর অনুষ্ঠান শেষ করেই গ্র্যান্ড হোটেলে ফিরে যান। সেখানে গিয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন। এরপরেই দ্রুত সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বুধবারই কলকাতায় আসছেন কেকে পরিবারের সদস্যরা।নিউমার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্য়ুর মামলা রুজু হয়েছে। শারীরিক অসুস্থা নাকি অন্য কারণে মৃত্য়ু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
- FB
- TW
- Linkdin
কেকে-র মরদেহ কলকাতা বিমানবন্দরে। বিকাল ৫ টা ১৫ নাগাত কিংবদন্তির মরদেহ নিয়ে মুম্বাই পাড়ি দেবে একটি বিমান।
কেকে-র অনুষ্ঠানে নজরুল মঞ্চের এসি মোটেই খারাপ হয়নি, নাই বা ছিল তখন বন্ধ, তবে বাধনহারা ভিড় হয়েছিল মানলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে ভিড় কেন নিয়ন্ত্রন করা যায়নি, এপ্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ বলেন, কারণ মানুষের উচ্ছ্বাস। মানুষের উচ্ছ্বাস যখন হয়, তখন হইহই করে বাচ্চারা দৌড়ে আসে। সেখানে কন্ট্রোল কে করবে। তারমধ্যে তো পুলিশ লাঠিচার্জ করতে পারে না।' ' কার হৃদয় কখন টুক করে বন্ধ হয়ে যায়, কেউ জানে না। এমনকি এই যে আমি কথা বলছি, একটু বাদেই যে আমি থাকবো কিনা, তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না', বিস্ফোরক ফিরহাদ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গান স্যালুট দেওয়া হল কেকে-কে। চোখের জলে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপচে পড়েছিল ভিড়। প্রথম দমদম বিমানবন্দরে গান স্যালুট দেওয়ার কথা উঠলেও পরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন রবীন্দ্র সদনেই গান স্যালুট দেওয়া হবে কেকে-কে। সমস্ত বিখ্যাত শিল্পীদের এই রবীন্দ্র সদনেই গান স্যালুট দেওয়া হয়। সেই মতোই কেকে-কেও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হল। স্ত্রী জ্যোতিকৃষ্ণ ও ছেলে নকুল কৃষ্ণ কুন্নাথের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেকে-র মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে রবীন্দ্রসদনে। কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পীকে দেওয়া হবে গান স্যালুট।
বুধবার সকালে কেকে-র মৃত্যু নিয়ে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে নিউ মার্কটে থানার পুলিশ। এবার নিউ মার্কেট থানায় এফআইআর দায়ের করল কেকে-র পরিবার।
কেকে-র অস্বাভাবিক মৃত্যু জুড়ে উঠে আসা একাধিক ইস্যুকে নস্যাৎ করলেন শিল্পী শুভালক্ষী দে। নজরুল মঞ্চে কেকে-র শোয়ের দিন অনুষ্ঠান ছিল শুভালক্ষী দে-র।তিনি বলেছেন, ' অতিরিক্ত মানুষ ওখানে ঢোকেননি, যার ফলে ওখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমার এটাই মনে হয়েছে, কারণ আমি কিন্তু পুরো অনুষ্ঠানেই ছিলাম।' তিনি আরও বলেন, শারীরিক অসুস্থতা বা অস্বস্থি যদি কেকে বোধ করতেন, তবে শোয়ে-র আগেই উনি গাইবেন না, সেটা জানাতেন। সেটা উনি করেননি। ওনাকে দেখে আমার একটুও অসুস্থ মনে হয়নি। এমনকি ওনার একটা ধামাকাদার ইন্ট্রো হয়েছে। তো যখন আমরা অতো লাইটের সামনে থাকি, তখন প্রচন্ড তাপে ঘামতে থাকি।এবং উনিও ঘামতে ঘামতে সমানে ঘাম মুছছিলেন।এবং জলও খাচ্ছিলেন। কিন্তু ঘাম হওয়া মানে এই নয় যে, এসি চলছিল না। এসি কিন্তু চলছিল। আসলে গ্র্যান্ড হোটেলে ফিরে যাওয়ার পরে ঘটনাটা ঠিক কি ঘটেছিল,সেই সব দিক মিলিয়ে আমাদের সবারই বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবা উচিত।'
ইতিমধ্যেই অন্ডাল থেকে বিমানে করে কলকাতায় ফিরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় এসেই এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপতত এসএসকে এম হাসপাতালেই সঙ্গীত শিল্পীর দেহ রাখা থাকবে। বিকেল ৫.১৫ ফ্লাইটে কেকে-কে নিয়ে যাওয়া হবে মুম্বইতে । তার আগেই কেকে-র মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে। দমদম এয়ারপোর্টের বদলে রবীন্দ্র সদনেই গান স্যালুট দেওয়া হবে বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীকে।
বুধবার সকালেই শিল্পীর ময়নাতদন্ত করা হল এসএসকেএম হাসপাতালে। এবার কেকে-র নিথর দেহ নিয়ে মুম্বইতে রওনা দেবেন গায়কের স্ত্রী ও পুত্র। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পরিবার।
এসএসকেএম-এ সঙ্গীত শিল্পী কেকে-র ময়নাতদন্ত শেষ। এবার কিংবদন্তি-র মৃতদেহ যাবে বিমানবন্দরে।
গ্র্যান্ড হোটেলে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা এবং ডিসি সেন্ট্রাল রুপেশ কুমার। গ্র্যান্ড হোটেলের শিফট ম্যানেজার, হোটেল কর্মী , প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বললেন পুলিশ আধিকারিকরা। হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেকে-কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুট দেওয়া হবে, প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে অন্ডাল থেকে বিমানে কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গায়কের মৃত্যু কি অস্বাভাবিক। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে নিউ মার্কটে থানার পুলিশ। বুধবার সকালে কেকে-র মৃত্যু নিয়ে নিউ মার্কেট থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার সকালেই শিল্পীর ময়নাতদন্ত করা হবে এসএসকেএম হাসপাতালে।
ময়না তদন্তের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল কেকে-এর মরদেহ, পরিবারের উপস্থিতিতে ময়না তদন্ত হবে, পুরো ময়না তদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হবে।
কিংবদন্তী সঙ্গীত শিল্পী কেকে-র মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতার প্রসিদ্ধ চিকিৎসক কাজল কৃষ্ণ বণিক। উল্লেখ্য, নজরুল মঞ্চের ভিতরে যতো মানুষ ধরে, মঙ্গলবার তার থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি দর্শক ছিল। কেন ক্ষমতার থেকেও বেশি লোক ঢুকল নজরুল মঞ্চে, এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসক বণিক। তীব্র অস্বস্থি, গুমোট গরমের মাঝেই একের পর এক জনপ্রিয় গান গুলি গেয়ে যান কেকে। অনুষ্ঠান চলাকালীন একাধিকবার স্পট লাইট বন্ধ করার কথা বলেছিলেন। ঘেমে যান তিনি। অসুস্থ লাগছে বারবার বলে যান কেকে। এত বড় বিষয় উদ্যোক্তারা কি নজরে নেননি, প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসক কাজল কৃষ্ণ বণিক। তিনি কেকে-র মৃত্যুর ঘটনাকে পুরোপুরি অবিশ্বাসাস্য এবং কখনই গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি করেছেন।
গায়কের মৃত্যুতে সঙ্গীতশিল্পী অনীক ধর জানিয়েছেন, প্রচন্ড খারাপ একটা খবর। কাল রাতে যখন কেকে-এর খবরটা শুনলাম তখন থেকেই একটা কষ্ট অনুভব করছি। চিকিৎসা করার কোনও সুযোগই দিলেন না, এইভাবে তিনি চলে গেলেন। তবে আমাকে সবথেকে বেশি কষ্ট দিচ্ছে যে কলকাতার নজরুল মঞ্চ থেকে কেন কেকে স্যারকে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল, যদি নজরুল মঞ্চ থেকে পাশেই এএমআরআই কিংবা কাছের কোনও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চেষ্টা করা হতো। এতবড় মাপের একজন শিল্পীকে কোনও চেষ্টাই করা হল না।
কলকাতার নজরুল মঞ্চে মোট ২০ টা গান গেয়েছিলেন কেকে।তার গানের তালিকায় প্রথম গানটা ছিল তু আশিকী হে। তারপর একেএকে তু ইবাদত, অজাব সি, দেসি বয়েজ, জ্যরা সি এবং ১৯ টা গানের পর শেষ গানটা ছিল পেয়ার কে পল, তু রহে, ইয়া না রহে কাল। ভারী অদ্ভুৎ, চিরকাল ভক্তদের হৃদয়ের মণিকোঠায় থাকা এই বিখ্যাত শিল্পী শেষ গানের লিরিক মিলিয়েই চিরতরে বিদায় নিলেন।
স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র আকস্মিক প্রয়াণে অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন সঙ্গীত শিল্পী কেকে-র স্ত্রী ও ছেলে। শিল্পীর মৃত্যুতে শোকাহত গোটা পরিবার। এইমুহূর্তে তার মৃত্যু নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন পরিবারের সদস্যরা।
কেকে-র ঠোঁটে এবং কপালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত এর প্রকৃত কারণ জানাতে পারে। প্রয়াত কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী কেকে। কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান শেষ করেই গ্র্যান্ড হোটেলে ফিরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন।শারীরিক অসুস্থতা নাকি অন্য কারণে মৃত্য়ু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।